বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে: সর্বশেষ ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ প্রাক-বাছাইতে লেবাননের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। আর এবার দীর্ঘ চার বছর পরে জয় আসলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের মাঠে।
ম্যাচের প্রথম থেকেই শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরে খেলতে থাকে লাল-সবুজের পতাকাবাহীরা। একের পর এক আক্রমণে লংকানদের শুরুতেই নাড়িয়ে দেয় মামুনুলরা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। স্পষ্ট বোঝাই যাচ্ছিল একজন ফিনিশারের প্রচন্ড অভাব রয়েছে দলে। আক্রমণগুলো সফল হলে প্রথমার্ধেই অন্তত ৩টি নিশ্চিত গোল পেতে পারত বাংলাদেশ।
তবে, ম্যাচের ৪০ মিনিটে বাংলাদেশের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস। ফলে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
প্রথমার্ধের দিকে তাকালেই বোঝা যায় ৭৫ ভাগ বলই ছিল বাংলাদেশের দখলে। এমনকি মাঝমাঠও ছিল বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রনে। কিন্তু সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছিল আক্রমণভাগের কারণে। তার পরেও আক্রমণ, পাল্টা-আক্রমণ, গোলবারে শটের দিক দিয়েও এগিয়ে ছিল স্বাগতিক দল। ম্যাচের শুরুতেই অনেকগুলো সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। ঠিকমতো সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে হয়তো গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিশ্রামে যেতে পারত দলটি।
ওদিকে ম্যাচের শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কা আক্রমণাত্মক ভাবেই খেলতে চেষ্টা করে। ম্যাচের ৫ মিনিটে শ্রীলঙ্কা আক্রমণ শানায়। কিন্তু জটলার মধ্যে পেয়েও বলটি জালে জড়াতে ব্যর্থ হয় লংকানরা। এরপর রায়হান হাসানের দারুণ থ্রো থেকে জটলার মধ্যে বল পান জাহিদ হোসেন। কিন্তু তিনি জালের ঠিকানা খুঁজে পাননি। এরপর কয়েকবার লংকানরা বাংলাদেশের বিপদ সীমায় ঢুকে পড়ে। কিন্তু বাংলাদেশের রক্ষণভাগের সামনে খেই হারায় দলটি।
১১ মিনিটে লংকান গোলরক্ষককে একা পেয়েও জালে বল জড়াতে পারেনি জাহিদ হোসেন। তার দুর্বল শট রুখে দেন শ্রীলঙ্কার গোলরক্ষক সুজান পেরেরা। ২২ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ পেয়ে সেটিও মিস করেন জাহিদ হোসেন এমিলি। ৩১ মিনিটে রায়হান হাসানের থ্রো থেকে বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন এমিলি। বলটি শ্রীলঙ্কার বার ছুঁয়ে চলে যায় মাঠের বাইরে।
অবশেষে ৪০ মিনিটে এমিলির বাড়িয়ে দেওয়া বলে হেমন্ত ভিনসেন্টের জোড়ালো শট খুঁজে পায় জালের ঠিকানা। এরপর বেশ কয়েকটি দারুণ আক্রমণ করে বাংলাদেশ। কিন্তু গোলের মুখ দেখেনি। আর কোনো গোল না হওয়ায় ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় বাংলাদেশ দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে খানিকটা চাপেই পড়ে যায় স্বাগতিকরা। ৬৭ মিনিটে বাংলার আকাশে যেন মেঘ ঘনিয়ে আসে। বাংলাদেশের গোলরক্ষকের ফাউলের কারণে মাঠেই লুটিয়ে পড়েন শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড় সেনানায়েক। ফলে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেয়। কিন্তু পেনাল্টি মিস করেন লংকান মিডফিল্ডার এ এ এন রোসান। তবে ফিরতি বলে হেড করেন শ্রীলংকার ফরোয়ার্ড। বলটি তালুবন্দি করে বিপদমুক্ত করেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল।
এরপর হেমন্ত, সোহেল রানা ও এমিলিরা আক্রমণে করেন লংকানদের বিপক্ষে। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। নির্ধারিত সময় শেষে ১-০ গোলের জয় নিয়ে সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫