ঢাকা: লোডভিক ডি ক্রুইফের অন্যতম আবিস্কার হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস। দলের ১০ নম্বর জার্সি গায়ে তার অভিষেক হয় গত বছর ভারতের গোয়ায়।
তারপর ১০ নং জার্সিতেও লেগেছিল পরিবর্তনের হাওয়া। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে আবারো যখন কোচ হয়ে আসলেন ক্রুইফ, তখন আবারো হেমন্তের গায়ে শোভা পেল জার্সি নং-১০। প্রথম ম্যাচে জ্বলে উঠতে না পারলেও তার ক্রীড়া নৈপুন্য নজর কেড়েছে সকলের।
তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই তিনি মান রাখলেন কোচের। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মানরক্ষার ম্যাচে একমাত্র জয় সূচক গোলটি আসলো তার পা থেকেই। ফলে দেশবাসীর আস্থার প্রতীক বনে গেলেন হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস।
হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক ছিলেন। খেলেছেন দ্বিতীয় বিভাগ, প্রথম বিভাগ, চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে। এখন তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্যতম কান্ডারী। তাকে নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্বয়ং লংকান কোচ নিকোলা কাভাজোভিচ। তিনি মনে করেন এমিলি-মামুনুলদের পরে দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়ের স্থানটি অচিরেই চলে যাবে হেমন্তের দখলে।
তার গতির প্রশংসা করেলন স্বয়ং কোচ ক্রুইফও। ম্যাচ পরবর্তী প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেন, ' ওর(হেমন্ত) তিনটি গোল করা উচিত ছিল। তবে সে ভালো খেলেছে। হেমন্ত প্রতিশ্রুতিবান খেলোয়াড়। '
সত্যিই এই ১৮ বছর বয়স্ক বালকের হাতেই তো বাংলাদেশের মশাল বেশ মানাচ্ছে। কেননা বছর খানেক পরে অনেকেই বয়সের কারণে বাদ পড়ে যাবেন দল থেকে। তখন হেমন্তদের হাতেই হয়তো শোভা পাবে বাংলাদেশের আর্মব্যান্ড।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৫