ঢাকা: বুধবার শেখ জামাল ধানমন্ডি ফুটবল ক্লাবের মাঠে শেষ বিকেলের আলো এসে পড়ছিল ডাচম্যান কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফের গায়ে। তাই রাঙ্গা মানুষটিকে আরো বেশি উজ্জ্বল মনে হচ্ছিল।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য ছিল সেমিফাইনাল। কিন্তু সেমিতে উঠেই ফাইনালের স্বপ্নে বিভোর পুরো দল। প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ার যুবাদের কাছে পরাজিত দলটি নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এখন লক্ষ্য সেমিতে নয় ফাইনালে খেলা।
বুধবার সেমিফাইনালে খেলার আগে ঘাম ঝরিয়ে নিলো বাংলাদেশ দল। কিন্তু একই মাঠে অনুশীলনের কথা ছিল প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ডের। শেষ সময়ে তারা অনুশীলনে অংশ নেয়নি। বিকেল চারটায় পুলিশ প্রহরায় মাঠে আসে বাংলাদেশ দল। এরপর দীর্ঘ এক ঘন্টার অনুশীলনে মত্ত ছিল তারা।
অনুশীলন শেষে প্রথমেই কথা হয় দলের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় আতিকুর রহমান মিশুর সাথে। তিনি মনে করেন থাইদের হারানোর ক্ষমতা রাখে বাংলাদেশ দল। তিনি বলেন, 'আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। দলে বড় কোন সমস্যা নেই। শুধু আমার ব্যাডলাক, গোড়ালিতে একটু আঘাত আছে। তবে এখনই কিছু বলতে পারছি না। হয়তো খেলতে পারব। '
আর গত ম্যাচের জয়সূচক গোলদাতা হেমন্ত ভিনসেন্টের এক কথা, 'সত্যি জয়ের বিকল্প নেই থাইল্যান্ডের বিপক্ষে। গত ম্যাচে আমার কিছু ভুল ছিল এ ম্যাচে তা শুধরে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। প্রতিপক্ষ যেই হোক আমাদের চাই জয়। '
ওদিকে অধিনায়ক মামুনুল ইসলামের আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা না করে উপায় নেই। নিজেদের মাটিতে শিরোপার স্বাদ নিতে যেন মুখিয়ে আছেন এই দেশসেরা মিডফিল্ডার। তবে ভয় আছে থাইদের ফ্রি কিকে। তাই কোচ নাকি তাদের থাই বধের গোপন কৌশল শিখিয়ে দিয়েছেন আজ অনুশীলনে।
মামুনুল বলেন, 'জয় চাই, ভালো খেলতে চাই। তবে থাইদের ফ্রি কিকগুলো ম্যাচে সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই কোচ আজ বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছেন আমাদের। দেশের মাটিতে অবশ্যই আমাদের মান রাখতে হবে। জয়ের বিকল্প নেই। '
৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টায় মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ বনাম থাইল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচটি। এখনও হাতে আছে আরো একদিন। একটু ভালো ভাবেই যে প্রস্তুত হতে হবে এবার। কারণ সেই ২০০৩ সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের পরে আবারো দেশের মাটিতে একটি সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। সুযোগ পেয়েছে একটি ইতিহাস গড়ার।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫