ঢাকা: সব সময় হাসি মুখে থাকা জাহিদ হোসেনকে দেখে বোঝার উপায় নেই তার মাথার উপর ঝুলছে নিষেধাজ্ঞার খড়গ! মোহামেডানের টাকা ফেরত না দেয়ায় ঘরোয়া ফুটবলে নিষিদ্ধই হলেন জাহিদ হোসেন।
৩০ জানুয়ারি শেষ হয়েছে ফুটবলারদের দলবদল।
তারপরেও জাহিদের নাম বাফুফেতে জমা দিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। কিন্তু মোহামেডানের টাকা ফেরত না দেয়ায় তার নিবন্ধন স্থগিত রেখেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে গত মৌসুমে মোহামেডান একাধিকবার কারণ দর্শানোর চিঠি দিলেও তা আমলে নেননি জাহিদ। পরে বাফুফে ক্লাবের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছিল জাহিদকে। নির্ধারিত সময় শেষে ক্লাবের সঙ্গে সমঝোতা না করায় কঠিন দন্ড পান তিনি। মোহামেডান থেকে ২০১৩-১৪ মৌসুমে নেয়া পারিশ্রমিক ৩৩ লাখ টাকার অর্ধেক সাড়ে ১৬ লক্ষ টাকা বাফুফের মধ্যস্থতায় ফেরত দেয়ার নির্দেশ ছিল।
বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি জাহিদকে ফিফার স্ট্যাটাস অ্যান্ড প্লেয়ার্স ট্রান্সফারের ২৫.৩ ও ২৫.৪ এবং বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কোডের ৬৭.৪ ধারায় শাস্তি প্রদান করে। ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত যে কোনো দেশের ঘরোয়া ফুটবলে নিষিদ্ধ থাকবেন জাহিদ।
চলতি বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে বেশ ভালোই খেলেছেন এই উইঙ্গার। ফলে বাতাসে ভাসছে সুখবরের ঘ্রাণ! শাস্তি মওকুফের বিষয়টি এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম জানালেন, 'বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন জাহিদের বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। আর মোহামেডানের ডিরেক্টর-ইন-চার্জ লোকমান হোসেন ভূইয়াও বলেছেন ম্যাচে ভালো করলে বিষয়টি তারা অবশ্যই আমলে নিবেন। '
আর জাহিদ হোসেনকে শাস্তির বিষয়ে জিজ্ঞেস করতেই বললেন, আমি ভালো আছি। দেখেন না কত সুন্দর ভাবে খেলা চালিয়ে যাচ্ছি। '
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫