ঢাকা: বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ আর থাইল্যান্ড। ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে আজকের ম্যাচে জয় ভিন্ন কিছু ভাবছে না লাল-সবুজের দল।
ম্যাচের প্রথম পনেরো মিনিটে অপরিকল্পিত ভাবে ফুটবল খেলতে থাকে দুই দল। ম্যাচের ১৯ মিনিটে সোহেল রানার ডানদিকে থেকে একটি ক্রস হেমন্ত ভিনসেন্ট নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারলে গোলের সুযোগ নষ্ট হয় বাংলাদেশের। খেলার ২৩ মিনিটে আবারো থাইল্যান্ডের শিবিরে আক্রমণ চালায় লাল-সবুজরা। এবারে সুযোগ নষ্ট করেন সোহেল রানা। পরের মিনিটে লম্বা থ্রো থেকে এমিলির একটি হেড রুখে দেন থাইল্যান্ডের গোলরক্ষক।
সেমিফাইনালের এ ম্যাচে দর্শকের ঢল নামে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। মাঠের উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম যেদিকে তাকানো হোক না কেন শুধুই দর্শক আর দর্শক। মাঠে বল গড়াবার আগেই পরিপূর্ন হয়ে যায় ২৬ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন গ্যালারি। ঠিক যেন জনসমুদ্র।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। মামুনুলের কর্নার কিক থেকে নাসির চৌধুরি পা ছুঁইয়ে গোল করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম বলেছিলেন, জয়ের জন্য আমরা সব কিছু করতে প্রস্তুত। আমাদের এখন একটিই লক্ষ্য, আর তা হলো বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে খেলা। সেমিফাইনালের এ ম্যাচে একটি টিম হিসেবে খেলতে চাই আমরা।
টুর্নামেন্টে ‘এ’ গ্রুপের দল বাংলাদেশ গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ চারে নাম লেখায় (২ খেলায় ১ জয় ও ১ হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে)। সিলেটে প্রথম ম্যাচে তারা ০-১ গোলে ‘মালয় টাইগার্স’ খ্যাত মালয়েশিয়ার কাছে হারলেও ঢাকায় দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১-০ গোলে পরাজিত করে।
এ পর্যন্ত বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছে ১৪ ম্যাচে। জয়ের পাল্লাটা ঝুঁকে আছে থাইদের দিকেই। ১৪ ম্যাচের ৯টিতেই জয় থাইদের। বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ২ ম্যাচে। বাকি ৩ ম্যাচ ড্র হয়। ১১ গোলের বিপরীতে ২৯ গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দু’দল মুখোমুখি হয়েছে ২০১২ সালে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এক প্রীতি ম্যাচে। সে ম্যাচের ফল মোটেও সুখকর নয় লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। থাইদের কাছে ০-৫ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫