ঢাকা: ‘আমাদের কোনো চাপ নেই। দর্শকের কারণে আমাদের দলে কোনো চাপ থাকবো না।
তিনি আরও যোগ করেন, আমি দুইবার খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশে এসেছি। এবার আসলাম কোচ হিসেবে। আমি কাপ নিয়ে যেতে চাই।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে অংশ নিয়েছে মোট ছয়টি দল। স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও আরো পাঁচটি দল অংশ নিয়েছে এ টুর্নামেন্টে। তবে গণমাধ্যমকর্মীদের চোখে সবচেয়ে কৌশলী কোচ মালয়েশিয়ার রাজীব ইসমাইল। উদ্বোধনী ম্যাচের আগে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশ দল সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই তাদের। কিন্তু ম্যাচে মালয়েশিয়ার আক্রমণ ও রক্ষণ কৌশল দেখে পিলে চমকে যাওয়ার মতো অবস্থা!
এমনকি তার কথার বানে অনেক সময় উল্টো বিধ্বস্ত সাংবাদিকরাই। কোন প্রশ্নের সরাসরি নয়, খানিকটা ঘুরিয়ে উত্তর দিতেই সিদ্ধহস্ত এই কোচ। শনিবার বাফুফে ভবনে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ঠিক যেন বোমা ফাটালেন তিনি।
ফাইনালে আবারো মুখোমুখি বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া। এ ম্যাচ সম্পের্ক মালয় কোচ রাজীব ইসমাইল বলেন, ‘জমজমাট লড়াই হবে এ ম্যাচে। আশা করছি একটি ভাল ও দর্শনীয় ম্যাচ হবে। দুটি দলই যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে ফাইনালে উঠেছে। ’
মালয়েশিয়ার কোচ আরও বলেন, ‘আমরা সিলেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে যে ম্যাচ খেলেছিলাম, তার সাথে এ ম্যাচের অনেক পার্থক্য। বাংলাদেশ প্রতিটি ম্যাচেই উন্নতি করেছে। যেহেতু ভিন্ন ভেন্যুতে, ভিন্ন ম্যাচে মাঠে নামবো আমরা, তাই আলাদা স্বাদ থাকবে। প্রতিটি ম্যাচেই বাংলাদেশ উন্নতির ধারা ধরে রেখেছে। আমরা পুনরায় মুখোমুখি হচ্ছি। আর দুই দলই ভাল খেলবে বলে আশা করছি। ’
কোন কোন জায়গায় ভাল করেছে বাংলাদেশ? এ সম্পর্কে কোচ বলেন, ‘প্রতিটি ম্যাচেই বাংলাদেশ ভাল খেলেছে। দলটি বেশ গতিময় ফুটবল উপহার দিয়েছে। আর দলে আছে বেশ কয়েকজন নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। তাদের মধ্যে জামাল ভূইয়া, জাহিদ হোসেন, মামুনুল ইসলাম ও জাহিদ হোসেন এমিলি অন্যতম। '
আর অধিনায়ক নাজিরুল নাঈম বলেন, ‘বাংলাদেশকে অভিনন্দন ফাইনালে টিকিট নিশ্চিত করায়। আমি মনে করি ফাইনাল ম্যাচটি প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ হবে। আশা করছি আমরা সেরাটা খেলতে পারবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫