ঢাকা: বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য ছিল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে খেলা। কিন্তু প্রথম ম্যাচে এই মালয়েশিয়ার কাছেই পরাজিত হয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ দল।
আর কাঙ্ক্ষিত সেমিফাইনালে বাংলাদেশ টোটাল ফুটবলের ছন্দে তান্ডব চালায় থাইল্যান্ডের উপর। এরপর বাংলাদেশ দলের চোখ পড়ে শিরোপায়। কেন নয়, দীর্ঘ ৫ বছর যে কোন শিরোপার স্বাদ পায়নি লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। কিন্তু শিরোপা খুব কাছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ফিরে এলো বাংলাদেশ। ফিরে এলো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ২৫ হাজার দর্শকের স্বপ্ন! ভেঙ্গে গেল বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের স্বপ্ন!
সত্যি বলতে দুই ডানা ভাঙা পাখি উড়বে কি ভাবে বলুন? ম্যাচ শুরু আগেই যে পরাজিত বাংলাদেশ। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই অনুশীলনের সময় আঘাতপ্রাপ্ত হয় বাংলাদেশ দলের অন্যতম ভরসা হেমন্ত ভিনসেন্ট। তাই মাঠে নামার আগে খানিকটা মানসিক চাপে ছিল স্বাগতিকরা। আর ম্যাচ শুরুর ৫ মিনিটে মাঠ ছাড়ে দেশসেরা উইঙ্গার জাহিদ হোসেন। কারণ আবারো সেই আঘাত। সেই সাথে রেফারির বিমাতা সুলভ আচরণের কথা না বললেই নয়। তবে দর্শকদের সমর্থন ছিল পুরো সময়টা জুড়েই।
দুর্দান্ত খেলেছে মালয়েশিয়ার অনূর্ধ্ব-২৩ দলটিও। একের পর এক আক্রমণ করে দলটি বেশ ব্যস্ত রেখেছে বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচ থেকেই মালয় দলটি টুর্নামেন্টের অন্যতম ঘাতক দলে পরিণত হয়। একে একে তারা বাংলাদেশ (জাতীয় দল), শ্রীলঙ্কা(জাতীয় দল), সিঙ্গাপুরকে (অনূর্ধ্ব-২৩) পরাজিত করেছে। এ হিসেবে শিরোপার যোগ্যতম দাবিবার বলা চলে দলটিকে।
প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে আবারো ঘুরে দাঁড়ায়। জাহিদ হাসান এমিলি ও ইয়াসিন খানের গোলে সমতায় ফেরে স্বাগকিতরা। তার পরেও দলটির আক্রমণভাগের দূর্বলতা ছিল চোখে পড়ার মতো। আর শেষ সময়ে আগুয়ান গোলরক্ষকের চোখে ধুলো দিয়ে গোল করেন মালয় ফরোয়ার্ড। সেই সাথে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের শিরোপা স্বপ্নের সলির সমাধি রচিত হয়ে যায়।
তবে পরিশেষে অবশ্যই উল্লেখ করা যায়, বাংলাদেশ বেশ ভালো খেলেছে। ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে আবারো মূল স্রোতে ফিরে দলটি তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছে। যদি পরপর দুজন গুরুত্বপূর্ন খেলোয়াড় না হারাতো তবে অবশ্যই আরেকটু গুছিয়ে খেলতে পারত বাংলাদেশ।
সেমিফাইনালের লক্ষ্যে টুর্নামেন্ট শুরু করা বাংলাদেশ ফুটবল দল ফাইনালে বাঘের মতোই লড়াই করেছে। বাংলাদেশ ফুটবল দলের প্রতি রইল বাংলানিউজ পরিবারের পক্ষ থেকে শুভ কামনা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫