ঢাকা: লা লিগার ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের অ্যাতলেতিকো লজ্জার পরের রাতে মাঠে নেমেছিল আরেক শিরোপা প্রত্যাশী স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। অ্যাতলেতিক বিলবাওয়ের ঘরের মাঠ সান ম্যামেস বারিয়ায় আতিথ্য গ্রহণ করেছিল লুইস এনরিকের বার্সা।
এ ম্যাচে প্রত্যাশিত জয় পেতে শুরুর একাদশে এনরিক মাঠে পাঠান ক্লদিয়ো ব্রাভো, দানি আলভেজ, জেরার্ড পিকে, জেরেমি ম্যাথিউ, জরদি আলবা, জাভি, বাসকুয়েটস, ইভান রেকিটিক, লুইস সুয়ারেজ, নেইমার আর লিওনেল মেসিকে। ৪-৩-৩ ফরমেশনে শুরু থেকে শিষ্যদের খেলাতে থাকেন এনরিক।
ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় লিড নেয় অতিথিরা। দলকে এগিয়ে নেন আর্জেন্টাইন তারকা মেসি। ৩০ গজ দূর থেকে আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকরের নেওয়া ফ্রি-কিক বিলবাওয়ের গোলরক্ষক ইরাইজজকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ায়। ২০ মিনিটের মাথায় সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে, এ যাত্রায় বার্সার গোলরক্ষক ব্রাভো দলকে গোলের হাত থেকে রক্ষা করে।
পরের মিনিটে নেইমারের বাড়ানো বল মেসি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে বাড়িয়ে দেন সুয়ারেজকে। কিন্তু লিভারপুলের সাবেক এ তারকা গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন। তার হেডটি রুখে দেন ইরাইজজ। তবে, ২৬ মিনিটের মাথায় সুয়ারেজকে প্রতিহত করতে পারেনি বিলবাওয়ের গোলরক্ষক। সুযারেজের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের ভেতর থেকে আবারো সুয়ারেজকে বল দেন মেসি। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শটে গোল করেন সুয়ারেজ। ফলে, ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বার্সা।
খেলার ৩১ মিনিটে আবারো গোলের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে বিলবাও। এবারে স্বাগতিক স্ট্রাইকার আদুরিজের হেডটি বার্সার গোলবারে লেগে ফিরে আসে। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে ২-০ গোলের লিড ধরে রেখে বিরতিতে যায় কাতালানরা।
বিরতি থেকে ফিরে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে পড়ে বিলবাও। একের পর এক আক্রমণ চালায় বার্সার শিবিরে। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে গোলের দেখাও পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। মাইকেল রিকোর ডান পায়ের শটে বার্সার জালে প্রথমবারের মতো বল জড়ায়। আদুরিজের শট রুখে দেন ব্রাভো, তবে ফিরতি বল পেয়ে রিকো শট নিলে ব্যবধান কমায় বিলবাও।
খেলার ৬২ মিনিটে দলের তৃতীয় আর নিজের দ্বিতীয় গোল করেন মেসি। সুয়ারেজের বাড়ানো বলে নেইমার হেড করতে ব্যথ হলে বল পান মেসি। আর তা থেকে গোল আদায় করতে বেগ পেতে হয়নি চারবারের ব্যালন ডি অর জয়ীকে।
দুই মিনিট পর ম্যাচের ৬৪ মিনিটে গোল করেন ব্রাজিল অধিনায়ক নেইমার। রেকিটিকের ক্রস থেকে বল পেয়ে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি বল বাড়ান নেইমারকে। আর কোনাকুনি শটে গোল করেন নেইমার। ফলে, ৪-১ এ এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
এর দুই মিনিট পর ম্যাচের ৬৬ মিনিটে আবারো গোল। এবারে গোল করেন বিলবাওয়ের আদুরিজ। মুনিয়াইনের অ্যাসিস্টে আদুরিজে কোনাকুনি শট নিলে তা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হন বার্সার গোলরক্ষক ব্রাভো। ম্যাচের ফলাফল দাঁড়ায় বার্সা ৪, আর বিলবাও ২।
ম্যাচের ৭৫ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় বিলবাও। সুয়ারেজকে সরাসরি পায়ে আঘাত করায় লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান স্বাগতিক ফুটবলার এটজিতা।
খেলার ৮৬ মিনিটে মেসির অসাধারণ পাস থেকে বল পান সার্জিও বাসকুয়েটস। তিনি বল আলতো ছোঁয়ায় পাঠিয়ে দেন পেদ্রোকে। আর দলের পঞ্চম গোল করতে একটুও সময়ক্ষেপণ করেননি পেদ্রো (৫-২)। চার মিনিট পর নেইমার গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন।
ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে ৫-২ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেসি-নেইমাররা।
এ জয়ের ফলে ২২ ম্যাচে বার্সার সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ালো ৫৩ পয়েন্ট। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে বার্সার থেকে এক পয়েন্ট বেশি পাওয়া রিয়াল মাদ্রিদ।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১০ ঘণ্টা, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫