ঢাকা: আর কয়েক ঘণ্টা পরেই ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর ক্রিকেট বিশ্বকাপের যুদ্ধ শুরু হবে। বিশ্বকাপের ১৪ দলের মধ্যে প্রতিটি দলেই নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার রযেছে।
সাকিব আল হাসান: বাংলাদেশ দলের নির্ভরতার অপর নাম সাকিব। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার একাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারেন। টাইগারদের সাফল্য অনেকটা এই বাঁহাতি ক্রিকেটারের ওপরই নির্ভর করছে। এছাড়াও বিশ্বমঞ্চের আগে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত বিগ ব্যাশ লিগে খেলেছেন। বিশ্বকাপে তার এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল: অস্ট্রেলিয়া দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চের দিকে চোখ থাকলেও অজিদের হয়ে একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন ম্যাক্সওয়েল। তার দিনে প্রতিপক্ষ দলের সব বোলারই হতাশায় ডুববে।
রস টেইলর: নিউজিল্যান্ড দলের মূল ফোকাসটা থাকবে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও কেন উইলিয়ামসনকে ঘিরে। তবে, এই দু’জনকে ছাড়িয়ে কিউইদের অন্য স্তরে নিয়ে যেতে পারেন টেইলর। উইকেটে থিতু হয়ে গেলে যেকোনো দলকেই হতাশা উপহার দিতে পারেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
এউইন মরগান: ইংল্যান্ড দলের নেতৃত্বের ভার এখন মরগানের কাঁধে। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ম্যাচ উইনারও বটে। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে মরগানের নেতৃত্বগুণ ও আত্মবিশ্বাসটা ফুটে উঠেছে। বিশ্বকাপে তার হাত ধরে ইংলিশরা অনেক দূর যেতে পারবে।
মহেন্দ্র সিং ধোনি: ভারতের অন্যতম ফিনিশার ধোনি। ম্যাচ কিভাবে বের করে আনতে হয় তা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ভালো করেই জানা। ভারতের এই অধিনায়ক যে বড় ম্যাচের ক্রিকেটার তা ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে দেখিয়েছেন।
হামিদ হাসান: প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করছে আফগানিস্তান। দুর্বল দল হলেও তাদের আশার আলো হয়ে থাকবেন পেস বোলার হামিদ।
পল স্টার্লিং: হামিদ হাসান যেমন বল হাতে আফগানদের হয়ে ম্যাচ বের করে আনতে পারেন ঠিক তেমনি স্টার্লিং ব্যাট হাতে আইরিশদের জন্য সুফল বয়ে আনতে সক্ষম।
শহীদ আফ্রিদি: পাকিস্তান দলের অন্যতম অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারদের একজন আফ্রিদি। তিনি যখন ব্যাটিংয়ে নামেন তখন রানের চাকাটা আর ধীরস্থির থাকেনা। বল হাতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখেন এই ডানহাতি স্পিনার। বিশ্বকাপে এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের ওপরই পাকিস্তানের সফলতা নির্ভর করছে।
প্রেস্টন মমসেন: স্কটল্যান্ডের মিডল অর্ডারে মমসেন যেন এক নির্ভরতার প্রতীক। স্কটিশদের ব্যাটিং লাইনআপে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ওপরই চোখ থাকবে।
ফাফ ডু প্লেসিস: যদিও সবাই এবি ডি ভিলিয়ার্সের নাম বলছে। তবে, ওয়ানেডের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ানের চেয়ে ডু প্লেসিসই ম্যাচ উইনার হিসেবে এগিয়ে থাকবে। প্রয়োজনের সময় সে খুবই কার্যকরী ইনিংস খেলে যা বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের অনেক দূর নিয়ে যাবে।
লাসিথ মালিঙ্গা: কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে, তিলেকারাত্নে দিলশান ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সমন্বয়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপ অন্যান্য শক্তিশালী দলের চেযে কোনো অংশে কম নয়। তবে, বল হাতে মালিঙ্গা একাই লঙ্কানদের স্বস্তি এনে দিতে পারেন।
ব্রেন্ডন টেইলর: জিম্বাবুয়ের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের একজন টেইলর। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিতে পারেন। বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপে ধারাবাহিকতার প্রতীক হতে পারেন টেইলর।
খুররাম খান: আসন্ন বিশ্বকাপের সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার সংযুক্ত আরব আমিরাতের খুররাম খান। ৪৩ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আইসিসির বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। বিশ্বকাপে আরবদের ব্যাটিং লাইনআপে এই বয়স্ক ক্রিকেটারই অন্যতম ভরসা।
জেসন হোল্ডার: বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের নেতৃত্ব পাওয়া জেসন হোল্ডার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। তরুণ এই পেস বোলারের নেতৃত্বগুণই পারে হতাশাগ্রস্ত ক্যারিবীয় দলকে একতাবদ্ধ করতে। এর আগে বিশ্বকাপ থেকে নিয়মিত অধিনায়ক ডোয়াইন ব্রাভো ও কাইরন পোলার্ডকে বাদ দেওয়ার পর অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান হোল্ডার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৫