ঢাকা: জানুয়ারী মাসে যখন ২০১৫ সালের প্রথম র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছিল বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা কর্তৃপক্ষ তখন বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৫। এমনকি ২০১৪ সালের ডিসেম্বরেও একই র্যাঙ্কিং ছিল দলটির।
গতকাল বৃহস্পতিবার ফিফা কর্তৃপক্ষ ফেব্রুয়ারী মাসের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। ১৬৫ থেকে ১৫৭ নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই সাফল্যের গোপন রহস্য কি? প্রায় ২৬ বছর পরে ফিফা টায়ার ওয়ান আওয়াভুক্ত একটি আসরে(বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ) অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ।
আর সেই আসরের ফাইনালে খেলেছে দলটি। তাই একলাফে বেশ খানিকটা পথ পাড়ি দিয়েছে দলটি। সেই সাথে গত কয়েক মাসে বাংলাদেশের সাথে প্রীতি ম্যাচে অংশ নিয়েছে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, জাপানের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে। তাই ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এতটুকু উন্নতি কাঙ্খিত ছিল বাংলাদেশ দলের।
এখন সাফ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সামনে আছে শুধু দুটি দেশ, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান। দুটি দলেরই এবার অবনমন হয়েছে। ৪ ধাপ নেমে মালদ্বীপ (১৩৫) আর ২ ধাপ নেমে গেছে আফগানিস্তান আছে (১৪৪) নম্বরে আছে। আর সবচেয়ে মজার বিষয় ভারত-পাকিস্তানের অবস্থান বাংলাদেশের ১৪ ধাপ নিচে, ১৭১ নম্বরে! এরপরই ১৭৩ নম্বরে আছে শ্রীলঙ্কা। আর সাফ অঞ্চলে সর্বশেষ রয়েছে নেপাল ১৮০ নম্বরে।
উল্লেখ্য, বিশ্বে এখনও র্যাঙ্কিংয়ে যথারীতি শীর্ষে রয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি। এরপর ৭টি দলই আছে আগের অবস্থানেই। আর্জেন্টিনা ২য়, কলম্বিয়া ৩য়, চতুর্থ বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড ৫ম ও ব্রাজিল আছে ৬ষ্ঠ স্থানে। এ ছাড়া পর্তুগাল ৭, স্পেন ১০, ইতালি ১২ ও ইংল্যান্ড আছে ১৫ নম্বরে।
২০১৫টি হতে পারে শুধুই ফুটবলের। কারণ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে শুরু করে দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপও অনুষ্ঠিত হবে এ বছরই। তাই এই উন্নতির ধারা বজায় রাখতে হলে বাংলাদেশ ফুটবল দলের করণীয় হচ্ছে বিদেশী দলগুলো সাথে আরো বেশী ম্যাচে অংশ নেয়া। যা সরাসরি প্রভাব ফেলবে ফিফা র্যাঙ্কিংনে। আর মৃত প্রায় বাংলাদেশের ফুটবল পাবে তার অক্সিজেন ...
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৫