ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

টুর্নামেন্টের সেরা চমক, সেমিতে মুক্তিযোদ্ধা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৫
টুর্নামেন্টের সেরা চমক, সেমিতে মুক্তিযোদ্ধা ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: চলমান ফেডারেশন কাপের চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালে ঐতিহ্যবাহী আবাহনীকে পরাজিত করে সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছে গত আসরের রানার্সআপ মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্র। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ঢাকা আবাহনীকে ১-০ গোলে হারিয়েছে অল রেডস খ্যাত মুক্তিযোদ্ধা।



মুক্তিযোদ্ধার হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড কামার সার্বা। এ জয়ে আগামী ২ মার্চ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিতে ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডকে মোকাবেলা করবে নব্বই দশকের সাড়া জাগানো ‘ড্রিম টিম’খ্যাত মুক্তিযোদ্ধা।   

ম্যাচ শুরুর ৩ মিনিটেই সুযোগ সৃষ্টি করেছিলো ঢাকা আবাহনী। হাঙ্গেরিয়ান মিডফিল্ডার গ্যবনের শট মুক্তিযোদ্ধার একজন ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে ফেরত আসায় গোল বঞ্চিত হয় আকাশী-নীলরা। ১৩ মিনিটে সুযোগ এসেছিলো মুক্তিযোদ্ধারও। কিন্তু এনামুলের পাসে মিশরীয় মিডফিল্ডার জেইয়িদা হেড নিলেও গোল হয়নি।

১৮ মিনিটে জটলা থেকে আরিফুলের শট আটকে দেন মুক্তির গোলরক্ষক। এর ঠিক দু’মিনিট পর আরো একটি সুযোগ নষ্ট হয় আবাহনীর। নাইজেরিয়ান তাইয়ো ইফাবিয়ির হেড ভাঙ্গতে পারেনি মুক্তিযোদ্ধার রক্ষণ। প্রথমার্ধের খেলা শেষে গোল শূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একটি গোলের জন্য প্রচেষ্টার কমতি ছিলনা দুই দলের। ৪৯ মিনিটে বক্সের ডান প্রান্ত থেকে গোলপোষ্ট লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন ঢাকা আবাহনীর বদলী ফরোয়ার্ড আমিনুর রহমান সজীব। কিন্তু বলটি সরাসরি মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক তিতুমির চৌধুরী টিটুর পায়ে লেগে ফেরত আসায় গোল বঞ্চিত হয় আকাশী-নীল শিবির। নির্ধারিত ৯০ মিনিট ম্যাচটি গোল শূন্য ছিল। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

৯৫ মিনিটে ঠিকই এগিয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা। ডিফেন্ডার ইবনুল সিরাজী পাস দেন সতীর্থ কামারা সার্বাকে, তিনি জোড়ালো শটে বল পাঠিয়ে দেয় আবাহনীর জালে (১-০)।

১০৫ মিনিটে এনামুলের নেওয়া পর পর দুটি শট একই রকমভাবে আটকে দেন আবাহনীর গোলরক্ষক। এরপর ম্যাচে ফিরতি মরিয়া হয়ে যায় জর্জ কোটনের শিষ্যরা। একরে পর এক আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধার রক্ষণভাগে ফাটল ধরাতে পারলেও জালের ঠিকানা খুজে পেতে ব্যর্থ হয় তারা। নির্ধারিত সময় শেষে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্র।

ফলে টানা দুই মৌসুম পরে যে শিরোপার স্বপ্ন দেখছিল আবাহনী তার সলিল সমাধি রচিত হলো।

উল্লেখ্য, কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার আগে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড হয় ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন। ২ খেলায় তাদের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-০ গোলে হারালেও হারাতে পারেনি চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডকে (০-০)।

পক্ষান্তরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ২ খেলায় ৪ পয়েন্ট নিয়ে শেষ আটে ওঠার আগে হয় ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ। প্রথম ম্যাচে তারা ৪-০ গোলে উত্তর বারিধারাকে হারালেও পরের ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সঙ্গে। শেখ রাসেলেরও তাদের (মুক্তিযোদ্ধা) সমান পয়েন্ট ছিল। কিন্তু এক গোল বেশি করায় রাসেলই হয়ে যায় গ্রুপসেরা।

ফেডারেশন কাপের ২৭তম আসর এটি। ১৯৮০ সালে এ আসর শুরু হয়। তবে চারবার এ আসরটি অনুষ্ঠিত হয়নি। ১৯৮৪ সালে পরিত্যক্ত, ১৯৯০, ৯২ ও ৯৩ সালে অনুষ্ঠিত হয়নি।

আবাহনী এর আগের ২৬টি ফেডারেশন কাপের ফাইনালে খেলেছে ১৫ বার। শিরোপা জিতেছে ৮ বার। পক্ষান্তরে মুক্তিযোদ্ধা ৭ বার ফাইনাল খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ৩ বার। তারা এ আসরের সর্বশেষ রানার্সআপ (২০১৩ আসরে শেখ জামাল ধানমন্ডির কাছে
হারে)।

পক্ষান্তরে আবাহনী ফেডারেশন কাপের সর্বশেষ ফাইনাল খেলে ও চ্যাম্পিয়ন হয় ২০১০ আসরে।   সেবার তারা হারায় শেখ জামাল ধানমন্ডিকে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।