ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

ফাইনালে শেখ জামাল

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৫
ফাইনালে শেখ জামাল ছবি: শোয়েব মিথুন/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মোহামেডান-আবাহনীর ম্যাচ মানেই মান রক্ষার লড়াই, ঐতিহ্যের লড়াই। কিন্তু দিন পালটে গেছে এখন শেখ রাসেল কিংবা শেখ জামাল বাংলাদেশ ফুটবলের অন্যতম জায়ান্ট দল হিসেবে আত্বপ্রকাশ করেছে।

কোয়ার্টার ফাইনালে মুক্তিযোদ্ধার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে আবাহনী। তাই সেই দ্বৈরথের স্বাদ আস্বাদন করতে পারবে না বাংলার ফুটবল ভক্তরা।

রবিবার ফেডারেশন কাপের প্রথম সেমিতে মাঠে নামে আরেক দুই দল শেখ রাসেল ও শেখ জামাল। মোটা দাগে বলা চলে এটি টুর্নামেন্টের অন্যতম হাই ভোল্টেজ ম্যাচ। অত্যন্ত উত্তেজনা পূর্ন এ ম্যাচে ২-১ গোলে জয় পায় ফেডারেশন কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল। এ জয়ের ফলে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত হলো ধানমন্ডি পাড়ার দলটির।

ম্যাচের শুরুতেই আক্রমনে যায় অল ব্লুজরা। ৩ মিনিটে কর্নার পায় শেখ রাসেল। কিন্তু জাহিদ হোসেনের কর্নার থেকে কাঙ্খিত গোলের মুখ পায়নি দলটি।

১৪ মিনিটে শেখ জামালের সঙ্গবদ্ধ আক্রমণের অংশ হিসেবে বল পেয়ে যায় হাইতিয়ান ওয়েডসন। কিন্তু তার লম্বা ক্রস চলে যায় ডি বক্সের মধ্যে থাকা জামালের অপর খেলোয়াড় এমেকা ডার্লিংটনের মাথার উপর দিয়ে চলে যায় মাঠের বাইরে।

২০ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে মামুনুলের কর্ণারের ফলে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যায় জামালের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ডার্লিংটন। রাসেলের গোলরক্ষক পুরোপুরি পরাস্ত থাকলেও তার হেড জড়ায়নি জালে। ২৬ মিনিটে রাসেলের ডিফেন্ডারদের ভুলে বক্সের মধ্যে বল পেয়েছিলেন শেখ জামালের খেলোয়াড়রা।

কিন্তু এবারো সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তারা। জটলা থেকে বল ফেরত এলে ফিরতি বলে ডার্লিংটন পোষ্ট লক্ষ করে শট নিলেও রাসেলের গোলরক্ষকের গায়ে লেগে ফেরত আসে। আরেকবার ব্যর্থ হয় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

৩০ মিনিটে শেখ জামালের লিওনেল প্রিয়াক্সের ক্রস থেকে বল পেয়ে হেড নিয়েছিলেন হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড ওয়েডসন। কিন্তু বল জালে জড়ায়নি। ৩৫ মিনিটে বক্সের খুব কাছেই বা প্রান্তে প্রিয়াক্সকে ফাউল করেন রাসেলের ডিফেন্ডার তপু বর্মন। তবে প্রিয়াক্সের ফ্রি কিক ফাটল ধরাতে পারেনি রাসেলের রক্ষণভাগে।

৩৯ মিনিটে রাসেলের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কিংসলে চিগোজিকে নিজেদের বক্সে ফাউল করেন জামালের ডিফেন্ডার ইয়ামিন মুন্না। ফলে পেনাল্টির নির্দেশ দেয় রেফারি তৈয়ব হাসান। পেনাল্টি থেকে গোল করেন জাহিদ হাসান এমিলি। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় শেখ রাসেল।

আর প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুবর্ন সুযোগট হাত ছাড়া হয় রাসেলের। প্রায় মাঝ মাঠ থেকে একক ক্রীড়া নৈপুণ্যে বল নিয়ে জামালের বক্সে ঢুকে শট করেছিলেন কিংসলে চিগোজি । কিন্তু তার শট ডান পোস্টে লেগে চলে যায় মাঠের বাইরে।

ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই অল ব্লুজ খ্যাত শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মাঠে খেলা বন্ধ হয়ে যায় একটি হ্যান্ডবল বিতর্ককে কেন্দ্র করে। ৫২ মিনিটে শেখ রাসেলের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ধেয়ে যায় জামালের ডি বক্সের দিকে। আর জামালের গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহলে ডি বক্সের বাইরে এসে বলটি তালুবন্ধী করেন। এই নিয়েই মাঠের মধ্যেই শুরু হয় বিতর্ক, পরে রেফারি তৈয়ব হাসান জামালের গোলরক্ষকে হলুদ কার্ড দেখালেও তাতে তুষ্ট ছিলনা শেখ রাসেল। পরে দুই দলের কর্তাদের হস্তক্ষেপে আবারো শুরু হয় ম্যাচটি।

৬০ মিনিটে সমতায় ফেরে শেখ জামাল। ডি বক্সের মধ্যে থাকা শেখ জামালের অধিনায়ক নাসির উদ্দির চৌধুরী রাসেলের গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে দর্শনীয় শটে গোল করেন (১-১)।

৮৯ মিনিটে পুরো স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে গোল করে শেখ জামালের ফরোয়ার্ড ডার্লিংটন। ওয়েডসনের উড়ন্ত ক্রস থেকে মাথা ছুইয়ে গোল করেন জামালের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ডার্লিংটন (২-১)। নির্ধারিত সময় শেষে আর কোন গোল না হওয়ার ফলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মারুফুল হকের শিষ্যরা।  
     
চলমান এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল ৫ মার্চ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকলে ৫.১৫  মুখোমুখি হবে শেখ জামাল ও ২য় সেমির জয়ী দল (মোহামেডান বা মুক্তিযোদ্ধা)।   

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।