ঢাকা: অনেক জল ঘোলা হবার পর শেষ পর্যন্ত ১৭ জন দাবাড়ু নেপালের নাগরকোটে অনুষ্ঠিত এশিয়ান জোনাল দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে যাচ্ছেন। আর সাথে খেলোয়াড়দের এয়ার টিকিট, রেজিস্ট্রেশন ফি এবং এন্ট্রি ফি সব কিছুর ব্যয় বহন করবে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন।
তবে প্রথমে নেপাল চেস অ্যাসোসিয়েশনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ১৫ সদস্যের দলের নামের তালিকা পাঠিয়েছিল। কিন্তু গত ১৩ মার্চ নেপাল চেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এশিয়ান জোন সভাপতি রাজেশ হরি জোশি সাফ জানিয়ে দেন ১০ জনের বেশি দাবাড়ু অংশ নিতে পারবেন না এ টুর্নামেন্টে। এরপর জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৮ জনের কথা। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের মধ্যস্থতায় ১৫ নয় ১৭ জনের একটি বিশাল দল নেপাল যাচ্ছে।
দাবা ফেডারেশনের সভাপতি বেনজীর আহমেদের প্রচেষ্টার ফলে এ সকল বিষয় সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। একটি বেসরকারী ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতা দেশীয় দাবার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দল টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। আগামী ২৭ মার্চ থেকে টুর্নামেন্টটি শুরু হবে। নেপালে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আগামী ২৬ মার্চ দলটি ঢাকা ত্যাগ করবে।
জোনাল চ্যাম্পিয়নশিপে অফিসিয়ালভাবে ৮ জন ও অ্যাডিশনালভাবে ৭ জনের পাশাপাশি বিশেষ কোঠায় আরো ২ জন নেপাল যাচ্ছেন। দলের খেলোয়াড়গণ: জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়ন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান, গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ, গ্র্যান্ডমাস্টার আবদুল্লাহ আল রাকিব, এনামুল হোসেন রাজীব, দুই আন্তর্জাতিক মাস্টার মিনহাজউদ্দিন আহমেদ সাগর ও আবু সুফিয়ান শাকিল,মহিলা চ্যাম্পিয়ন আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার শামীমা আক্তার লিজা, আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার রানী হামিদ, তিন ফিদে মাস্টার শেখ নাসির আহমেদ, দেবরাজ চ্যার্টাজি, খন্দকার আমিনুল ইসলাম, ক্যান্ডিডেট মাস্টার সোহেল চৌধুরী ছাড়াও রয়েছেন চার মহিলা ফিদে মাস্টার নাজরানা খান ইভা, জাকিয়া সুলতানা, শারমিন সুলতানা শিরিন এবং দুই রেটেড খেলোয়াড় সামিহা শারমিন সিম্মি এবং মাহমুদা হক চৌধুরী মলি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘন্টা, ১৯ মার্চ ২০১৫