পল্টনের মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে দুপুরের পর থেকেই জমে উঠেছিল ভিড়। ৫২ কেজি ওজন শ্রেণির ফাইনাল দেখতে এসেছিল উৎসাহী দর্শক, ক্রীড়াপ্রেমী, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধিরাও।
প্রতিযোগিতা শুরুর আগে থেকেই কৌতূহলের কেন্দ্রে ছিলেন জিনাত। আর রিংয়ে নেমেই যেন সেই কৌতূহলের যথার্থতা প্রমাণ করলেন তিনি। প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। রক্ষণে আত্মবিশ্বাসী জিনাতের বিপরীতে আফরা খেলেছেন সাহস নিয়ে। চেষ্টার কমতি ছিল না তার। তবে তিন রাউন্ডের শেষে জয়ের হাসি নিয়ে রিং ছাড়েন জিনাতই।
গ্যালারির একপাশে বসে বড় বোন আফরার জন্য গলা ফাটাচ্ছিলেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। পাশে মা-বাবাও। পরিবারের সবটুকু সমর্থন নিয়ে রিংয়ে নেমেছিলেন আফরা, কিন্তু তা জিনাতের আত্মবিশ্বাসী আক্রমণ ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট হয়নি।
ম্যাচ শেষে আফরা বললেন, ‘তিনি একজন ভালো খেলোয়াড়। তার বিপক্ষে খেলা আমার জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে তার আক্রমণাত্মক স্কিলটা দুর্দান্ত। ম্যাচ শেষে তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘গুড ফাইট’। ’
আরও বিশেষায়িত অনুশীলনের আবেদন জানিয়ে আফরার কথা, ‘জিনাত বিদেশে অনুশীলন করে থাকে। তার অনুশীলন সুবিধা অনেক ভালো। আমরা যদি ওরকম ভালো সুযোগ-সুবিধা পাই, আমরাও ওদের মতো ভালো করবো। ’
জয়ের পর জিনাত কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। প্রথমবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে এসে নিজের অভিজ্ঞতার কথা এভাবেই জানান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জিনাত, ‘যেভাবে সবাই আমাদের বক্সিংকে সমর্থন করছে, এটা আমার কাছে অনেক বড় জিনিস। খুব ভালো লাগছে, কত জন আসছে। কত মানুষ সাপোর্ট করছে। আমি এটা প্রথমবার খেললাম, তবে এটাই শেষ নয়। ’
‘আমি সবাইকে বলতে চাই, বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা খেলতে চায়। তারা যদি সুযোগ-সুবিধা পায়, অনেক ভালো করবে। ওদের স্কিল আছে। ’যোগ করেন তিনি
এআর/আরইউ