ঢাকা: আব্দুল হালিম ও জোবায়দা নিলুর পাশে তার নামটি থাকার কথা ছিল। কিন্তু এখনও তার নামটি ঠাঁই পায়নি গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।
এ ধরণের রেকর্ড গড়ে ২০১৪ সালে অবসরে যান দেশসেরা এই ভারোত্তোলক। কিন্তু এর পরেও তার নামটি ঠাঁই পায়নি গিনেজ বুকে! বহু দরজায় ঘুরে এখনও আশাতেই বুক বাঁধেন তিনি। হয়তো হবে...
দীর্ঘ ২৭ বছর তার পথচলাটা সোনা-রুপায় মোড়ানো। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ গেমসে রুপা জিতে শুরু তারা। এরপর ১৯৯২ ও ১৯৯৬ তে ৫ম বাংলাদেশ গেমসে হন শ্রেষ্ঠ ভারোত্তোলক। সর্বোচ্চ সাফল্য ২০০৪ সালে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে রুপা। আর পুরস্কার হিসেবে ময়মনসিংহ শহরে এক খণ্ড জমি দিয়েছে সরকার। ২০০৫ সালে জিতেছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির পুরস্কার।
আপনার তো সোনা আর রুপায় মোড়ানো ক্যারিয়ার?
বিদ্যুৎ- 'হ্যাঁ, সত্যি আমার সোনা-রুপায় মোড়ানো ক্যারিয়ার। শুরুতে রুপা জিতেছিলাম। মাঝে ২৫টি সোনা আর শেষে এসে আবারো রুপা। কোন আক্ষেপ নেই। একটি ইচ্ছা আছে, যেন গিনেস বুকে নামটি ওঠে। আমার জানা মতে, এ ধরণের রেকর্ড এখনও কারো নেই। '
গিনেজ বুকে নাম ওঠার বিষয়টি কতদূর?
বিদ্যুৎ- 'হবে ভাই হবে, ভাই কাজ চলছে। ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় বলেছেন কোন চিন্তা না করতে। এ জন্য যে আর্থিক বিষয়গুলো আছে তিনি দেখবেন বলে আশ্বস্থ করেছেন। এখন ছবি, পেপার কাটিং ও ভিডিওগুলো সংগ্রহ করছি। সব ঠিকঠাক থাকলে হয়ে যাবে। ’
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ও ফেডারেশন থেকে কি কোন সাহায্য পেয়েছেন?
বিদ্যুৎ- 'আসলে সেই ২০১৩ সালে আমি কাগজপত্র জমা দিয়েছি বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে। কিন্তু তারা তো কোনো সাহায্য করেনি। খোজও নেয়নি। তবে ভারোত্তোলন ফেডারেশন আমার পাশে আছে সবসময়। '
২০১৪ সালে অবসর নিয়ে ফেলেছেন। এখন কি করছেন?
বিদ্যুৎ- 'বাংলাদেশ আনসারের সাথে ছিলাম, এখনও আছি। আনসারের ছেলেদের কোচিংয়ের দ্বায়িত্ব নিতে যাচ্ছি। ফেডারেশন চাইলে উঠতি ভারোত্তোলকদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছাও আছে আমার। '
ভারোত্তোলনে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কি মনে হয়?
বিদ্যুৎ-'সবাই তো ফুটবল-ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে ভারোত্তোলনের বেশ কদর রয়েছে। বাংলাদেশ ভারোত্তোলনে অনেক এগিয়েছে। সাফ গেমসে স্বর্ণ জিতেছে। আফ্রো-এশিয়া কাপেও পদক জিতেছে। তবে আমাদের মূল সমস্যা হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে কারিগরি সাপোর্টের অভাব। যার ফলে জেলা পর্যায় থেকে ভালো মানের ভারোত্তোলক উঠে আসছে না। '
হয়তো বাংলাদেশে ক্রীড়া সংস্কৃতির অভবটাই দায়ী। না হলে একজন গুনী ব্যক্তি কেন পাচ্ছে না তার প্রাপ্য সম্মান। তারপরেও হাল ছাড়ছেন না বিদ্যুৎ কুমার রায়। সেই সাথে আমরা আরো একটি গিনেজ রেকর্ডের আশা তো করতেই পারি ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, ২৮ এপ্রিল, ২০১৫
ইয়া/আরএম