ঢাকা: ২০১২ সালে ৪০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ফ্রেঞ্চ ক্লাব লিলি থেকে চেলসিতে পাড়ি জমান এডেন হ্যাজার্ড। ইতোমধ্যেই নিজেকে ব্লুজদের অপরিহার্য খেলোয়াড়ে পরিণত করেছেন।
ওই সময়ে লিলির তৎকালীন কোচ রুডি গার্সিয়া দাবি করেছিলেন, হ্যাজার্ডকে পেতে চেলসির মালিক আব্রামোভিচ ফোন করেন। দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতেই আমরা তাকে ছাড়তে রাজি হই। ’
সম্প্রতি ডেইলি মিররকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হ্যাজার্ড বলেন, ‘আমার প্রতি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আগ্রহ থাকলেও দ্রগবা আমাকে চেলসিতে যোগ দিতে রাজি করায়। তখন আমি মোটেই এই ক্লাবে আসতে চাই নি। কারণ, আমি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, ২০১১-১২ মৌসুমে ব্লুজরা পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে ছিল। তবে, ২০১২ সালে তারা চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতায় আমার মনোভাব বদলে যায়। ’
ইংল্যান্ডের পিএফএ বর্ষসেরা ফুটবলার আরও বলেন, ‘লিলিতে থাকা অবস্থায় সাবেক ক্লাব সতীর্ত জারভিনহো আমাকে ফোন দিয়ে বলে কেউ একজন তোমার সাথে কথা বলবে। আমি আসলেই বুঝতে পারিনি কার সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছি। পরক্ষণেই দ্রগবার গলার আওয়াজ শুনি। আমি যেন চেলসিতে যোগ দিই সেটিই তিনি জোর দিয়ে বলেন। ’
দ্রগবার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পেরে অভিভূত হয়েছিলেন বলেও জানান হ্যাজার্ড। তিনি উল্লেখ করেন, ‘ওই সময়টাতে দ্রগবাকে বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে ভাবতাম। তখন পর্যন্ত চেলসিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা আমার ছিল না। দ্রগবাই আমার চিন্তার জায়গাটা ঘুরিয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে আসতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। আব্রামোভিচের সঙ্গে আমার কোনো ধরণের যোগাযোগ হয়নি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘন্টা, মে ১১, ২০১৫
আরএম