ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১০ সফর ১৪৪৭

খেলা

জায়ান্ট কিলারদের জয়

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:১২, জুলাই ২৫, ২০১৫
জায়ান্ট কিলারদের জয় ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে নামের প্রতি সুবিচার করলো 'জায়ান্ট কিলার' খ্যাত রহমতগঞ্জ। শনিবার মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে পুরোনা ঢাকার দলটি ৩-২ গোলে মুক্তিযোদ্ধাকে পরাজিত করে।

এর ফলে দ্বিতীয় লেগে এই নিয়ে ৭ ম্যাচে জয়হীন রইলো মুক্তিযোদ্ধা। ৭ ম্যাচে ৩ ড্র আর চার হারে প্রথম লেগে চমক সৃষ্টিকারী অল রেডস খ্যাত মুক্তি এখন দিশেহারা।

ম্যাচের শুরু থেকে রহমতগঞ্জের উপর চাপ সৃষ্টি করেও গোলের দেখা পায়নি মুক্তি। ম্যাচের ২৬ মিনিটে গোলর সুযোগ সৃষ্টি করেছিলো দলটি। এ সময় মুক্তি মিডফিল্ডার ফয়সাল মাহমুদ বল নিয়ে বক্সে ঢুকলেও জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন।   উল্টো ৩১ মিনিটে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। কর্ণার থেকে বল মুক্তির বক্সে পরলে বল কিয়ার করতে ব্যর্থ হন মুক্তির ডিফেন্ডারা। ফলে বল পেয়ে পেনাল্টি সীমানা থেকে সাইড ভলি করে মুক্তির বক্সে বল পাঠান রহমতগঞ্জের ফরোয়ার্ড নূরুল আবসার (১-০)। প্রথমার্ধের খেলা শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় রহমতগঞ্জ।  

তবে দ্বিতীয়ার্ধে খানিকটা গুছিয়ে খেলতে শুরু করে মুক্তি। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে সমতায় ফেরে আবু ইউসুফের শিষ্যরা। এ সময় ডান
প্রান্ত থেকে মুক্তির বদলী মিডফিল্ডার হাসানুজ্জামান কায়েসের উড়ন্ত ক্রসে জোড়ালো হেড দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড কামারা সার্বা (১-১)।

তবে খুব বেশিক্ষণ ম্যাচে সমতা ধরে রাখতে পরেনি মুক্তিযোদ্ধা। ৬৭ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে মুক্তির বিপদসীমায় ঢুকে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে গোল করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড গিডিওন সলোমন (২-১)। আর ৮৬ মিনিটে দুর্দান্ত হেডে
আবারো মুক্তির জাল কাঁপান এই ফরোয়ার্ড (৩-১)।

তবে পরের মিনিটেই বক্সের মধ্যে ফাউল করার কারণে পেনাল্টি নির্দেশ দেয় রেফারি তৈয়ব হাসান। আর পেনাল্টিতে ব্যবধান কমান মুক্তি অধিনায়ক এনামুল হক (৩-২)। তবে এ গোলে লাভ হয়নি মুক্তির। নির্ধারিত সময়ে ব্যবধান না বাড়াতে পারার ফলে ৩-২ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জায়ান্ট কিলাররা।  

ফলে ১৭ ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধার সংগ্রহ ২২ পয়েন্ট। তালিকার ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে দলটি। আর ১৬ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে বিজেএমসিকে টপকে অষ্টম স্থানে উঠে এলো রহমতগঞ্জ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ২৫ জুলাই ২০১৫
ইয়া/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।