বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে: বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে ‘এ’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে বাংলাদেশ। ড্র হওয়া ম্যাচটিতে স্বাগতিকদের হয়ে সমতাসূচক গোলটি করেন মিথুন চৌধুরী।
বাংলাদেশের সঙ্গে ড্র করে সেমিফাইনালের পথ কঠিন করে তুললো গত বারের চ্যাম্পিয়ন মালয়েশিয়া। দুই ম্যাচে এক জয় ও ড্র-এ বাংলাদেশের পয়েন্ট ৪। আর পর পর দুই ম্যাচ ড্র করে মালয়েশিয়ার পয়েন্ট ২। এদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় নিয়ে বাংলাদেশের সমান ৪ পয়েন্ট পেয়েছে নেপাল। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি ) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের প্রতিযোগিতায় নামে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া।
এই প্রতিযোগিতায় অবশ্য এগিয়ে ছিল মালয়েশিয়া। কেননা প্রথমার্ধের একেবারে প্রথম মিনিটে বাংলাদেশের গোলবারের ডান দিক দিয়ে আক্রমণ রচনা করে কমলা জার্সিধারীরা। তবে দলটির আক্রমণ ভাগ শেষ পর্যন্ত বলটি ঠিক মতো প্লেস করতে না পারায় জালে জড়ানো সম্ভব হয়নি।
এর ঠিক চার মিনিট পর আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ার গোল সীমানার বাঁদিক দিয়ে বেশ গোছালো একটি আক্রমণ করেছিল লাল-সবুজের দল। কিন্তু ডি-বক্সের বাইরে থেকে মামুসুলের বাঁ পায়ের শটটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে গোল বঞ্চিত হয় স্বাগতিকরা।
এর পরের মিনিটেই সিয়াহিদ জাইদনের ফ্রি-কিক থেকে গোলের সুযোগ পেয়ছিল গেল বারের চ্যাম্পিয়নরা কিন্তু বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক রানা ঝাঁপিয়ে পড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন।
প্রথমার্ধেই এগিয়ে যাবার দৌঁড়ে আট মিনিটে আরেকবার বেশ গোছালো আরেকটি আক্রমণ রচনা করে মালয়েশিয়া। আর এবারের আক্রমণের নায়ক সিয়ামিম ইয়াহিয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার শটটি ক্রসবারের উপরে লেগে বেরিয়ে গেলে বিপদমুক্ত হয় বাংলাদেশ। ৩৪ মিনিটি, গোলের আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ হাত ছাড়া করেন আবু সালিমের শিষ্যরা।
বাংলাদেশের গোল সীমানার একেবারে সামনে অধিনায়ক শুকুর আদনান হেড থেকে দলকে এগিয়ে নিতে চাইলে লাল-সবুজের দলকে নিশ্চিত গোলের হাত থেকে আবারও রক্ষা করেন গোলরক্ষক রানা। এভাবেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশর লক্ষ্যটা ছিল পরিষ্কার। আর সেটা হল, ম্যাচে জয়। তাহলেই সেমিফাইনালে। সেই লক্ষ্যে দ্বিতীয়ার্ধ নিজেদের আক্রমণ ভাগকে শান দিয়ে প্রতিপক্ষের সীমানায় বেশ কয়েকবার শট নেয়। কিন্তু আক্রমণগুলো ততটা গোছালো না হওয়ায় সেই লক্ষ্য থেকে বারবারই পিছিয়ে গেছে। বাংলাদেশ যখন এমন আক্রমণে ব্যস্ত তখন থেমে থাকেনি মালয়েশিয়াও।
৫৬ মিনিটে তেমনই এক গোছালো আক্রমণ রচনা করে বাংলাদেশ সীমানায় গিয়ে মুহাম্মদ জাইমানের দারুণ এক ক্রস থেকে মুহাম্মদ হাদিনের জোরালো শটটি গিয়ে চুমু খায় বাংলাদেশের জালে, ফলে মালয়েশিয়া ১-০ গোলে এগিয়ে যায়।
পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ গোল পেতে মরিয়া হয়ে একের পর এক আক্রমণ রচনা করে প্রতিপক্ষের সীমানায়। ৭৬ মিনিটে ঠিক ধারালো আক্রমণে মালয়েশিয়ার ডি-বক্স সীমানায় জাহিদ হোসেনের এগিয়ে দেওয়া বল থেকে দলকে ১-১ সমতায় ফিরিয়ে স্বাগতিক শিবিরে উল্লাসের উপলক্ষ এনে দেন মিথুন।
এরপর ব্যবধান বাড়াতে দুই দলই আক্রমণের ধার বাড়ালেও শেষ পর্যন্ত সফল হতে না পেরে খেলা শেষে সমতা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় দু’দলকে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, ১৩ জানুয়ারি ২০১৬/আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা
এইচএল/এমএমএস