ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৭ মে ২০২৫, ১৯ জিলকদ ১৪৪৬

খেলা

নিরাপত্তাকর্মী বাড়ালেও শঙ্কায় অলিম্পিক

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৩২, জুলাই ১৭, ২০১৬
নিরাপত্তাকর্মী বাড়ালেও শঙ্কায় অলিম্পিক

ঢাকা: একের পর এক সন্ত্রাসীদের ন্যাক্কারজনক হামলায় শঙ্কিত বিশ্ববাসী। তবে, শঙ্কাটা কিছুটা বেশি ব্রাজিলে।

আগামী ০৫ আগস্ট থেকে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে শুরু হতে যাচ্ছে ক্রীড়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসর অলিম্পিক। ফ্রান্সের প্যারিস ও নিসের পর এবার জঙ্গিদের নিশানা রিও, এমনই আশঙ্কা করছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা।

এদিকে, অলিম্পিকের শহরকে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলেছেন ফরাসি গোয়েন্দারা। প্যারিসে জঙ্গিহানার তদন্ত করতে গিয়েই নাকি অলিম্পিকের সময় রিওতে হামলার শঙ্কার কথা জানতে পেরেছে ফ্রান্সের সামরিক বাহিনী।

বিশ্বের অনেক দেশই নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। বৈশ্বিক ক্রীড়ার সবচেয়ে বড় আসর অলিম্পিক নিয়েও শঙ্কার শেষ হচ্ছে না। কারণ, ব্রাজিল অলিম্পিক আয়োজনের পর থেকে এর বিরোধিতা করে আসছিল দেশটির একদল জনতা। এর বড় কারণ ধরা হচ্ছে দেশটির অর্থনৈতিক মন্দা। এর আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপের আসরেও (২০১৪) সেখানে বিরোধিরা দাঙ্গা-হাঙ্গামা চালায়। ফলে ধারণা করা হচ্ছে অলিম্পিক আয়োজনের পর আরও খারাপ অবস্থায় যেতে হতে পারে ব্রাজিলকে।

এদিকে, নিসের হামলার পর অলিম্পিকের নিরাপত্তা নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন ব্রাজিলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট মাইকেল টেমার। তার নির্দেশ মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পুলিশ এবং সেনাবাহিনী মিলিয়ে ব্রাজিলে মোট পঁচাশি হাজার নিরাপত্তাকর্মী রয়েছেন। যাদের ওপর দশ হাজার পাঁচশো অ্যাথলেট ও অলিম্পিকের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ভার দেওয়া হয়েছে।

তবে, কড়া নিরাপত্তা স্বার্থে আরও কর্মী বাড়ানো হবে বলে জানান ব্রাজিলের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান সার্জিও এতচেগোয়েন। তিনি জানান, ব্রাজিল অলিম্পিকের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল ৮৫ হাজার পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত থাকবে। যা ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকের দ্বিগুণ। কিন্তু, নিস হামলার পর সেটাকে আরও বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুরো দেশটিকে আমরা ঘিরে রাখার জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি।

রিও অলিম্পিককে সামনে রেখে ব্রাজিল সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা মহড়া থেমে নেই। ব্রাজিলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাউল জুংম্যান নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে জানান, এখন পর্যন্ত কোনো দেশ নির্দিষ্ট করে কোনো সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকির ব্যাপারে আমাদের সতর্কবার্তা দেয়নি। তারপরও আমরা দেশের অভ্যন্তরীন প্রতিটি চেক পয়েন্টে নিরাপত্তাপ্রহরী আরও বাড়াব।

আসন্ন ব্রাজিল অলিম্পিকের আসরে আগে থেকেই শঙ্কা জেগেছিল জিকা ভাইরাসের। প্রথম সারির কয়েকজন গলফার ইতোমধ্যেই এই ভাইরাসের ভয়ে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া, তারকা টেনিস খেলোয়াড়রা নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছেন অলিম্পিক আসর থেকে। জিকা ভাইরাসের পর থেকে যাচ্ছে দেশটির অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দাঙ্গা। তাতে, ব্রাজিল বিশ্বকাপ ফুটবলের পর অলিম্পিক আসরটি কতটা ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারবে দেশটি, এমন একটি প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, ১৭ জুলাই ২০১৬
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।