তবে সেই ফিফটি-ফিফটি চান্সগুলো গোল করার সময়ই কী যেন হয়ে যায় লাল-সবুজ বাহিনীর। কোনো এক অদৃশ্য কারণে গোল করতে ব্যর্থ হয় অলিভারের ছাত্ররা।
শুধু এই টুর্নামেন্ট ধরি, তাহলে ১৫ টি পেনাল্টি কর্নারের সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। শক্তিশালী মালয়েশিয়ার সঙ্গে দুটি ও ফিজির সঙ্গে ১৩ বার এ সুযোগ এসেছে। তার মধ্যে জালে জড়িয়েছে মাত্র তিনটি।
এর আগে বিশ্ব হকি লিগের ২য় রাউন্ডের প্রস্তুতি হিসেবে ঘানার সঙ্গে তিনটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তিনটি ম্যাচে ১৩টি পিসির সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তা থেকে গোল করতে পেরেছে মাত্র দুটি। সবমিলে মোট ২৮ টি পেনাল্টি কর্নারের সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ! গোল এসেছে মাত্র ৫টি থেকে!
শতাংশের হিসেবে মাত্র ১৮% গোল করতে পেরেছে জিমিরা। যদিও সংখ্যা বা অংক সঠিক পর্যবেক্ষণ দিতে পারে না। ক্যাম্পেইন শেষে প্রস্তুতি ম্যাচগুলোর পরেও ঘুরেফিরে পেনাল্টি কর্নারের গোল ব্যর্থতার প্রসঙ্গ এসেছে।
এই গোল করার ব্যর্থতাকে শিক্ষা হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি। তিনি বাংলানিউজকে জানান, ‘কোচের নির্দেশনা মোতাবেক বক্সের ভেতরে পেনাল্টি কর্নার করার সুযোগ তৈরি করতে পারছি আমরা। তবে কোনো না কোনো কারণে মিস করে যাচ্ছি। তবে এসব থেকে শিখছি আমরা। পরের ম্যাচে অভিজ্ঞতাই সাহায্য করবে। ’
মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) ওমানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বিশ্ব হকি লিগের তৃতীয় রাউন্ডের টিকিট পেতে ওমানের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প নেই জিমিদের। কাজে লাগাতে হবে পেনাল্টি কর্নারগুলোকে।
এমনটাই বলছেন জিমি, ‘ওরা আসলে খুবই ভালো দল। ওদের সঙ্গে আমরা আগেও খেলেছি। আমরা যদি আমাদের প্ল্যানিং অনুযায়ি খেলতে পারি, পেনাল্টি কর্নারগুলোতে যদি সফল হই, তবে অবশ্যই খেলায় আমরাই জিতব। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, ০৬ মার্চ, ২০১৭
জেএইচ/এমএমএস