ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১০ সফর ১৪৪৭

খেলা

৮ সেরা সাঁতারুকে ৪০ লাখ টাকার পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:৩১, মে ২৫, ২০১৭
৮ সেরা সাঁতারুকে ৪০ লাখ টাকার পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর ছবি: পিআইডি

ঢাকা: বয়সভিত্তিক সেরা ৮ সাঁতারুকে খেলাধুলায় আরো উন্নতির জন্য ৫ লাখ টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে নৌবাহিনীর সদর দফতরের সুইমিংপুল কমপ্লেক্সে নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সমাপনী অনুষ্ঠানে তাদের হাতে চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সারা দেশ থেকে নির্বাচিত সেরা ৬০ সাঁতারু সমাপনী দিনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।

তাদের নৈপূণ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ উপস্থিত অতিথিদের মুগ্ধ করে। প্রতিযোগীতায় সেরাদের খেলাধুলায় আরো উন্নতির জন্য এসব টাকা তুলে দেওয়া হয়।

প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনে ১১-১২ বছর বয়সী নারী সাঁতারুদের মধ্যে কিশোরগঞ্জের প্রমি ও পুরুষ সাঁতারুদের মধ্যে কিশোরগঞ্জের আমিরুল প্রথম স্থান অধিকার করে।

এছাড়া ১৩-১৫ বছর বয়সী নারী সাঁতারুদের মধ্যে ঝিনাইদহের সুম্মা ও পুরুষ সাঁতারুদের মধ্যে কিশোরগঞ্জের জহিরুল ইসলাম প্রথম স্থান অধিকার করে। ১৫-১৭ বছর বয়সী নারী সাঁতারুদের মধ্যে ঢাকার মুক্তি ও পুরুষ সাঁতারুদের মধ্যে কিশোরগঞ্জের হাকিম মিয়া প্রথম স্থান অধিকার করে এবং ১৮ থেকে তদুর্ধ্ব বয়সী নারী সাঁতারুদের মধ্যে কুষ্টিয়ার খাদিজা ও পুরুষ সাঁতারুদের মধ্যে কুষ্টিয়ার আল আমিন প্রথম স্থান অধিকার করে।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিভাবান সাঁতারুদের খুঁজে বের করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশেনের উদ্যোগে ও নৌবাহিনীর সহযোগিতায়-২০১৬ সালের ১৯ মে ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

প্রথম পর্বে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ও ৪৮৯টি উপজেলা হতে ২৫ হাজার সাতারু অংশ নেন। এদের মধ্যে দ্বিতীয় পর্বের জন্য ১২৭৫ জন নির্বাচিত হয়। পরবর্তীতে ১২৭৫ জনকে ঢাকায় এনে পুনরায় তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১৬০ জনকে নির্বাচিত করা হয়। শেষ পর্বে বাংলাদেশে সুইমিং ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে এ সাঁতারুদের ৩ মাস নিবিড় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত হয় সেরা ৬০ জন সাঁতারু। এ কৃতি সাঁতারুদের জন্য লেখাপড়াসহ দেশে-বিদেশে ৩ বছরব্যাপী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

অনুষ্ঠানে নদী মাতৃক বাংলাদেশে সাঁতার একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সাঁতার খেলাটিও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। তারই নিদর্শন আজকের এ প্রতিযোগিতায় ক্ষুদে সাঁতারুদের মেধার প্রতিফলন।

তিনি বলেন, আমাদের এখানে ক্ষুদে সাঁতারুদের যে নৈপুণ্য দেখলাম- তাতে আমি অত্যন্ত আশাবাদী। এখান থেকেই একদিন আমাদের বিশ্বমানের প্রতিযোগীরা উঠে আসবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় বাংলাদেশেরই মানুষ ব্রজেন দাস ইংলিশ চ্যানেল পার হয়েছিল। কাজেই আমরা যে পারি সেটা আসলে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সুইমার ট্যালেন্ট হান্ট-এ নতুন প্রজন্মের দক্ষ সাঁতারুদের সমাবেশ ঘটেছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সুইমিং ফেডারেশনের সভাপতি ও নৌবাহনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমবি সাঈফ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
এমইউএম/ওএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।