ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

হকিতে নির্বাচন

ডামাডোলের কেন্দ্রে হকির সাধারণ সম্পাদক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭
ডামাডোলের কেন্দ্রে হকির সাধারণ সম্পাদক ...

বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) বর্তমান জিএস আব্দুস সাদেক এবার নির্বাচনে আসবেন না সেকথা আগেই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তবে এবার হকির নির্বাচনী হাওয়া বইছে সাধারণ সম্পাদক পদটিকে কেন্দ্র করে। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে। এই পদটিকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলরদের মধ্যেও উত্তাপ দেখা যাচ্ছে।

হকিতে নির্বাচন মানেই ভিন্ন কিছুর আমেজ। গত নির্বাচন ধরুন।

সবশেষ নির্বাচনে এই পদকে কেন্দ্র করেই তিন বছর হকি লিগ বন্ধ ছিল। আবারও কি সেই শঙ্কায় ঢাকা বাহফে। ফেডারেশনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক অবশ্য সেই শঙ্কা দেখছেন না। তিনি বলেন, ‘এবার সুষ্ঠুভাবেই নির্বাচন হবে। কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। ’

প্রতিবারই গোপনভাবে অলিখিত কমিটি গঠন করা হয় প্রার্থী সিলেকশনের জন্য। প্রতিবারই কোন না কোনও সমস্যা হয় একে কেন্দ্র করে।

এবারে চলতি বছরের জুনের শেষ দিকে বা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ নির্বাচনের বাঁশি বাজতে পারে। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার বিকেলে গোপনীয়তার ভিত্তিতে কাউন্সিলরদের তালিকা জমা দেয়া হয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি)। প্রার্থী যাচাই-বাছাই করে তফসীল ঘোষণা করবে এনএসসি।

গোল্ড কাপ হকি লিগ শেষ করেই তাই প্রার্থী ও কাউন্সিলরা আছেন দৌড়ের উপরে। এবার সাধারণ সম্পাদক পদে তিনটি নাম ঘুরে ফিরে আলোচনায় আসছে। প্রথমজন সাজিদ এএ আদিল, দ্বিতীয়ত খাজা রহমতুল্লাহ ও তৃতীয়ত আব্দুর রশিদ শিকদার।

গুলিস্তানস্থ মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের সামনে দিয়ে গেলেই নির্বাচনী হাওয়ার উত্তাপটা টের পাওয়া যায় সাজিদ এএ আদিলের নির্বাচনী পোস্টারের মাধ্যমে। ইতোমধ্যে সাজিদের সমর্থকরা বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে। যদিও গত নির্বাচনে সমন্বয় কমিটি তাকে সহসভাপতি পদে প্রস্তাব করলে সম্মত হননি। তিনি এবার জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবার তিনি কাউন্সিলর হলেন ঢাকা ইউনাইটেড হকি ক্লাবের। যে ক্লাবটি আগে উত্তরা হকি ক্লাব নামে পরিচিত ছিল।

অন্যদিকে হকির খাজা রহমত উল্লাহ তো আছেনই। গত নির্বাচনে তিনি সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েও বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট চাপের মুখে পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তার পদে স্থলাভিষিক্ত হয় দেশের হকি জীবন্ত লিজেন্ড আব্দুস সাদেক। সেটি এখনও বহাল। খাজা রহমত উল্লাহ হকির উন্নয়নকল্পে বিভিন্ন প্রকার পরিকল্পনা করে থাকেন। যদিও প্রচার-প্রচারণায় তিনি পিছিয়ে থাকেন। তার কথায়, লোকে পছন্দ করেই এই চেয়ারে আসতে পারা যাবে। তবে দায়িত্ব ঠিকমতো বন্টন না করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সবকিছু নিজের কাছেই রাখতে চান বলে অনেকেই নাখোশ খাজা রহমত উল্লাহর উপর।

অপরদিকে তৃতীয় প্রার্থী আব্দুর রশিদ সিকদার হতে পারেন এবারের চমক। ঊষা ক্লাবের কাউন্সিলর তিনি। হকির সঙ্গে জড়িত এই প্রার্থী ইদানিং রাজনৈতিক মহলেও নাম কামাচ্ছেন। বর্তমান কমিটির সহসভাপতিও তিনি। আসন্ন নির্বাচনে জিএস পদে নির্বাচন করতে চান। কয়েকদিন আগে কাতারে এশিয়ান হকির সাধারণ সভায় আজলানশাহ অ্যাওয়ার্ড তিনিই গ্রহণ করেন। সেক্রেটারি পদে নির্বাচিত হলে হকির উন্নতীকল্পে আরো বেশি সময় দিবেন বলে জানান।

প্রায় ১৫টি ক্লাবের প্রতিনিধিদের নিয়ে সবশেষ রুদ্ধদার বৈঠক হয় হকি ফেডারেশনের সভাকক্ষে। সেখানেই আলোচনা হয় সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীতা নিয়ে। ওই সভায়ই খাজা রহমত উল্লাহ ও আব্দুর রশিদ সিকদার সেক্রেটারি পদে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। তবে ক্লাবগুলোর কেউ কারো পক্ষে রায় দেননি। নির্বাচন বলে কথা। তবে উপস্থিত চার পাঁচটি ক্লাব সাজিদ এএ আদিলের পক্ষেই ছিলেন।

হকি ফেডারেশনের মোট কাউন্সিলর ৮৬ টি। জেলা ও বিভাগ মিলিয়ে ৪১ টি, বিভিন্ন ক্লাব ৩১ টি (প্রথম, দ্বিতীয় বিভাগ), বাহিনী ৪ টি (বিমান, সেনা, নৌ ও পুলিশ), জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ৫টি, বিকেএসপি, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, মহিলা ক্রীড়া সংস্থা, আম্পায়ার্স বোর্ড ও সাবেক নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ৩১ মে, ২০১৭
জেএইচ/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।