ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

প্রতিভা অন্বেষণ ও অবকাঠামো উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৩ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১৭
প্রতিভা অন্বেষণ ও অবকাঠামো উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ প্রতিভা অন্বেষণ, তৃণমূল খেলোয়াড় তৈরি ও অবকাঠামো উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ

২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে এবারই প্রথম হাজার কোটায় পা রেখেছে বাজেট। আগের বছরের তুলনায় বাজেট বেড়েছে ৩৭৮ কোটি। বাজেট বৃদ্ধিতে ক্রীড়া ক্ষেত্রে হর্তাকর্তাদের দায়িত্বও বাড়ছে। অর্থমন্ত্রীর কথানুযায়ী, ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ, তৃণমূল পর্যায় থেকে দক্ষ খেলোয়াড় গঠন ও আন্তর্জাতিকমানের অবকাঠামোর উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে।

দেশের ক্রীড়া জগতের অভিভাবক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) আওতাধীনে এই প্রতিভা অন্বেষণ, খেলোয়াড় তৈরি ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। গত বছরে বরাদ্দ পাওয়ার পর প্রতিভা অন্বেষণ ও তৃণমূল পর্যায় থেকে খেলোয়াড় তৈরিতে বিভিন্ন ফেডারেশনকে অর্থ বরাদ্দ করেছে এনএসসি।

এবারও সেই কার্যক্রম অব্যাহত রেখে বাজেটের সদ্ব্যবহার করা হবে বলে জানান এনএসসির যুগ্ন সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, ‘এবার বরাদ্দ বেড়েছে। গতবারের যে প্রতিভা অন্বেষণ ও তৃণমূল খেলোয়াড় তৈরির কার্যক্রম ছিল তা এবারও অব্যাহত থাকবে। সঙ্গে পাঁচটি জায়ান্ট প্রকল্পের কাজ প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে। এ অর্থবছরে এগুলোর কাজ চলবে। ’

যদিও প্রায় প্রত্যেকটি ফেডারেশন প্রতিভা অন্বেষণের কার্যক্রম শুরু করলেও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ব্যর্থ হয়।
 
যুব ও ক্রীড়া খাতে ৩৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দ বেড়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে দেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১,৩৩৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন খাতে ব্যয় হবে ৩২৭ কোটি টাকা। ১,০৫৯ কোটি টাকা ব্যয় হবে অনুন্নয়ন খাতে।
 
বৃহস্পতিবার (০১ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন। গত অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ ছিল ৯২২ কোটি টাকা। তবে তা সংশোধিত হয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫৯ কোটি টাকায়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বাজেট ছিল ৮৩৪ কোটি টাকা। উন্নয়ন বাজেটে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জন্য ৬৬ কোটি ৭ লাখ টাকা, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) জন্য ৮৯ কোটি ৫ লাখ টাকা ও যুব উন্নয়ন অধিদফতর খাতে ১১১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
 
বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার এমপি বলেন, ‘বর্তমান ক্রীড়াবান্ধব সরকার যুব ও ক্রীড়া খাতে বরাদ্দ বাড়ানোয় আমি প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বাজেট বৃদ্ধির ফলে এদেশের ক্রীড়ার প্রসার ঘটবে এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়ায় উত্তরোত্তর সাফল্য আসবে বলে আমার বিশ্বাস। ’
 
এবার আন্তর্জাতিকমানের অবকাঠামো উন্নয়নের যে ঈঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী তার মধ্যে পাঁচটি প্রকল্পের কথা জানিয়েছে এনএসসি। এবার উন্নয়ন খাতে পাঁচটি জায়ান্ট প্রকল্প হাতে নিয়েছে এনএসসি।
 
-পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য প্রকল্প গৃহীত হয়েছে।
-কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের বড় প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন।
-মানিকগঞ্জেও একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে।
-গুলশানে একটি জায়গার বরাদ্দ এসেছে। সেখানে ক্রীড়া পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রকল্পের কাজ চলছে।
-মাদারিপুরের শিবচরে ৩০০ একর জমির উপরে অলিম্পিক ভিলেজ গড়ে তোলার প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন।

কবে নাগাদ কাজগুলো শুরু হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার জানান, ‘এগুলো প্রস্তাবের আকারে আছে। উন্নয়ন কাজে পরিবর্তন হয় সবকিছু। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেই আলাদাভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়। কোনটার দুই-তিন বছর, কোনটার আবার এক-দেড় বছর লেগে যায়। ’      

এবার সবমিলে ক্রীড়া জগতে বাজেট বাড়লেও তা চাহিদার তুলনায় কমই মনে করছেন তিনি। তবে, এগুলো দিয়েই তৃণমূল থেকে কাজ শুরু করতে হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ০২ জুন, ২০১৭
জেএইচ/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।