ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

এমন ব্যাটিংয়ের জন্য মুখিয়ে ছিলেন সাকিব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
এমন ব্যাটিংয়ের জন্য মুখিয়ে ছিলেন সাকিব সাকিব আল হাসান

কার্ডিফ থেকে: চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এমন ক্ল্যাসিক ব্যাটিং সাকিবের বহুদিনের জমানো কষ্ট অনেকাংশেই লাঘব করেছে। টাইগারদের হয়ে ব্যাট হাতে যে অর্ডারে তিনি নামেন, সেখানে খুব বেশি ওভার খেলার সুযোগ থাকে না। ফলে নিজের ইনিংসটিও বড় করা সম্ভব হয় না অধিকাংশ সময়।

কখনও কখনও সুযোগ থাকলেও স্বল্প রানে টপ অর্ডারের বিদায়ে সৃষ্ট চাপে তাড়াহুড়া করতে গিয়ে আউটের ফাঁদে পড়ে ফিরতে হয় প্যাভিলিয়নে। অবশেষে সাকিবের সেই সুযোগ আসে শুক্রবার (৯ জুন) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে।



টিম সাউদির তোপে দলীয় ৩৩ রানে চার সতীর্থের বিদায়ের পর সাকিব যখন এলেন তখন বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসের চলছে ১২তম ওভার। ব্যাস, নিজের মনের মতো করে ইনিংস খেলার সুযোগ পেয়ে গেলেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। খেললেন ১১৪ রানের ঝকঝকে মহাকাব্যিক এক ইনিংস। যা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে টাইগারদের অবিস্মরণীয় এক জয় এনে দিলো।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মঞ্চে এমন ঝলমলে ইনিংসের পর উৎফুল্ল সাকিব নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ‘আমার লক্ষ্য ছিল শুধু ব্যাটিং করতে থাকা, যতক্ষণ সম্ভব। কারণ অনেক ওভার ছিলো।   ইদানীংতো এ রকম বেশি ওভার ব্যাটিংও করতে পারি না। তাই ইচ্ছে ছিলো যতো বেশি সময় সম্ভব ব্যাটিং করা। ’

শুধু সাকিবই নন, লাল-সবুজের এমন বীরোচিত জয়ে অবদান রেখেছেন টাইগার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও। এদিন পঞ্চম উইকেটে সাকিব-রিয়াদের গড়া ২২৪ রানের জুটিতে ৫ উইকেটেই ২৬৬ রানের লক্ষ্য টপকে যায় টিম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ডও হয়েছে। তাই ক্রিজের অপর প্রান্তে থাকা রিয়াদের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা সাকিবের মুখ থেকে সরছিলো না।     

‘রিয়াদ ভাই (মাহমুদুল্লাহ) এসে খুবই ভালো ব্যাটিং করছিলেন। এসেই তিনি আমার উপর থেকে প্রেসারটা সরিয়ে নেন। ’ যখন আমাদের ১১০ রানের জুটি হেয় গেলো তখন দেখলাম যে ২০ কি ২২ ওভারের মতো আছে। ১৩০ কিংবা ১৪০ রানের মতো দরকার। যেহেতু আমরা এখন অনেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলি। আমরা জানি যে ৭ রান করে নেওয়া খুব বেশি প্রবলেম হবে না। যদি আমরা ২০ ওভার ব্যাটিং করতে পারি তাহলে হবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমরা দু’জন ৪০-৪৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করতে পারি কি-না। সেটা আমরা করতে পেরেছি। ’

আর তাতেই ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অবিস্মরণীয় সেই জয়ের লাকি ভেন্যু কার্ডিফে আরেকটি ঐতিহাসিক জয়ের দেখা পেলো টিম বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৩ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
এইচএল/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।