বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সামছুর রহমান, বিজিবিএম, পিবিজিএম, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি এবং শেনইয়াং ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট লিউ ঝিং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তিন বছরের জন্য সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এ স্বাক্ষরের ফলে সরকার হাই পারফরমেন্স ট্রেনিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে ঢাকা বিকেএসপিকে যে সেন্টার অব এ্যাক্সিলেন্স করার উদ্যোগ গ্রহন করেছে, সমঝোতা স্মারক তারই এক সহায়ক ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বিকেএসপির মহাপরিচালক মনে করেন এ সমঝোতায় বিশেষজ্ঞ বিনিময়ের মাধ্যমে ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগকে যুগোপযোগী করারও সুযোগ রাখা হয়েছে। তিনি আরও মনে করেন, সমঝোতা অনুযায়ী শেনইয়াং এর এক্সপার্টরা বিকেএসপিতে এসেও কোচ ও এ্যাথলেটদের প্রশিক্ষণ দিতে পারবে।
উল্লেখ্য যে, প্রতিনিধি দলটি শেনইয়াং ছাড়াও চীনের বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথেও ক্রীড়া বিষয়ে প্রাথমিক কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিকেএসপির মহাপরিচালক। চুক্তি অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া পরিদফতরের পরিচালক ও যুগ্ম সচিব আমিনুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আজিজুল হক, বিকেএসপির পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ও যুগ্ম সচিব মো. মোশারফ হোসেন মোল্লা, কলেজের সহকারী অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ- পরিচালক নুসরাৎ শারমিন, ফুটবল বিভাগের চিফ কোচ উজ্জল চক্রবর্তী ও এ্যাথলেটিক্স কোচ মো. মেহেদী হাসান।
সুযোগ-সুবিধা আর সাফল্যে শেনইয়াং বিশ্ববাসীর কাছে আদর্শ। এ প্রতিষ্ঠানের এ্যাথলেটরা অলিম্পিকের মতো বড় আসর থেকে অনেক পদক অর্জন করেছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এ পর্যন্ত শেনইয়াং একাডেমির প্রশিক্ষণার্থীরা ১০৩টি স্বর্ণ পদক সহ মোট ৩৬৪ পদক উপহার দিয়েছে তাদের দেশকে। তাই সংশ্লিষ্ঠদের মতে এ সমঝোতায় বিকেএসপি তথা বাংলাদেশই বেশি লাভবান হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ১০ জুলাই ২০১৭
এমআরপি