প্রোটিয়া বোলার থোরাই কেয়ার করে এই দুই টাইগারের ঝড়ো ব্যাটে বড় সংগ্রহের আশা দেখছিল টিম বাংলাদেশ। কিন্তু হঠাৎই পা হড়কালেন, ইমরুল।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪৩ রান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে দ. আফ্রিকা।
তবে ব্যাটে নামাটা স্বাগতিকদের খুব বেশি সুখকর হয়নি। কেননা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মিরাজের আঘাতে ক্রিজছাড়া হন, হাশিম আমলা। দ্বিতীয় ওভারে মিরাজের শেষ বলটি আমলা অফ সাইডে খেলতে গেলে তা গিয়ে তার স্ট্যাম্পে আঘাত হানলে ব্যক্তিগত ৩ ও দলীয় ১৮ রানে রানে ক্রিজছাড়া হন এই প্রোটিয়া ওপেনার।
দলীয় ১৮ রানে ও ব্যক্তিগত ৩ রানে হাশিম আমলাকে ফিরিয়ে দিয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ বাংলাদেশ শিবিরকে আশা দেখালেও সেই আশায় পানি ঢেলে দেন দুই প্রোটিয়া টপ অর্ডার এবি ডি ভিলিয়ার্স ও কুইন্টন ডি কক।
তাদের ব্যাটে ভর করে আমলাকে হারানোর বিপত্তি কাটিয়ে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এই দুই টপ অর্ডার যখন দলকে যখন বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই আবার আঘাত হানলেন, মিরাজ।
তার হানা দ্বিতীয় আঘাতে রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৪৯ রানে, ক্রিজ ছাড়া হন বিষ্ফোরক ডি ভিলিয়ার্স। এই রান সংগ্রহ করতে তিনি খেলেছেন ২৭টি বল। যেখানে ৮টিই চারের মার ছিল।
ভিলিয়ার্সকে হারালেও ব্যাটিং আগ্রাসন এতটুকুও কম ছিলো না দ. আফ্রিকার। সফরকারী বোলারদের উপর রীতিমত স্টিম রোলার চালিয়ে যাচ্ছিলেন ডুমিনি ও ডি কক। তবে খুব বেশিক্ষণ এমন ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি প্রোটিয়া শিবির।
১৩তম ওভারের শেষ বলে সাকিবের কুশলী ডেলিভারিতে ব্যক্তিগত ১৩ রান ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন, অধিনায়ক ডুমিনি।
সাকিবের পর ডুমিনিদের সাজানো ঘরে তোপ চালালেন রুবেল হোসেন। তাতে কাজও হলো বিস্তর। ১৫তম ওভারে তার একেবারে শেষ বলে ব্যক্তিগত ৫৯ রানে এলবি’র ফাঁদে পড়ে ক্রিজ ছাড়া হন, ওপেনার কুইন্টন ডি কক।
আর এই রান সংগ্রহ করতে তিনি খেলেছেন, ৪৪টি বল। যেখানে চারের মার ৫টি ও ছয়ের মার ছিল ১টি।
এরপর অবশ্য আর বিপত্তি ঘটেনি। ডেভিড মিলার (২৫ রান ) ও বেহারডিয়েনের (৩৬ রান) ব্যাটে ভর করে ২০ ওভারে, ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় দ. আফ্রিকা।
বাংলাদেশ সময়: ০০০১৪ ঘণ্টা, ২৭ অক্টোবর ২০১৭
এইচএল/জেএম