বুধবার (২১ মার্চ) সকালে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে তিনি এ প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ, মাদক আর সন্ত্রাস রোধ করতে পারে এমন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর মো. মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার এসএম রুহুল আমিন ও বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনা ,কুচকাওয়াজ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন ইভেন্টের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
পাঁচ দিনের এই প্রতিযোগিতা ২৫ মার্চ পর্যন্ত চলবে। এবারের প্রতিযোগিতায় চারটি অঞ্চলের ২৭২টি স্কুল, সাতটি মাদরাসা ও একটি কারিগরি বিদ্যালয় থেকে ৪৬৪ জন ছাত্র এবং ৩৪৪ জন ছাত্রীসহ মোট ৮০৮ জন প্রতিযোগি- হকি, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন ও টেবিল টেনিসসহ মোট ১৩টি ইভেন্টের খেলায় অংশ নেবে।
চারটি অঞ্চলের মধ্যে চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা নিয়ে গঠিত ‘বকুল অঞ্চলের’ জার্সি রঙ সবুজ। খুলনা ও বরিশাল নিয়ে গঠিত ‘গোলাপ অঞ্চলের’ জার্সি রঙ বেগুনি, ঢাকা ও ময়মনসিংহ নিয়ে গঠিত ‘পদ্মা অঞ্চলের’ জার্সি রঙ নীল এবং রাজশাহী ও রংপুর নিয়ে গঠিত ‘চাপা অঞ্চলের; জার্সি রঙ লাল।
জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী প্রতিষ্ঠানকে ৩০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
এছাড়া প্রতিযোগিতার প্রতিটি ইভেন্টে প্রথম স্থান অধিকারীকে স্বর্ণ, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে রৌপ্য এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীকে তামার মেডেল-ট্রফিসহ বিভিন্ন হারে প্রাইজবন্ড পুরস্কার দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
এমএস/জিপি