জয়-পরাজয় ছাড়িয়ে এ ম্যাচকে ঘিরে পুরে শহরে ছড়িয়ে পড়ে উন্মাদনা। দর্শকদের এমন আবেগ গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা কাবাডির ফাইনালকে তোলে চায়ের দোকানের আড্ডায়ও।
গত বুধবার (২৫ জুলাই) শুরু হয় কাবাডি টুর্নামেন্টটি। এতে অংশ নেয় মানিকগঞ্জের ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলার ৮টি দল। তবে ফাইনালে জায়গা করে নেয় দৌলতপুর উপজেলা কাবাডি দল ও ঘিওর উপজেলা কাবাডি দল।
শনিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে শিবালয়ের মহাদেবপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে ফাইনালে হয় সেয়ানে সেয়ান টক্কর। প্রথম টাইম আউটে দু’দলের পয়েন্ট ব্যবধান প্রায় সমান থাকে, তবে এরপর আর দৌলতপুর উপজেলার সঙ্গে পেরে ওঠেনি ঘিওর। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হারে ১৮ পয়েন্টের ব্যবধানে।
ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন এই টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর বসুন্ধরা এলপি গ্যাস’র হেড অব ডিভিশন (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) মীর টি আই ফারুক রিজভী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়।
ফাইনালের উদ্বোধক ছিলেন পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, স্থানীয় পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি নীনা রহমান, শিবালয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ।
দর্শকদের প্রত্যাশা, ভবিষ্যতে নিয়মিত বিরতিতে আয়োজন করা হবে কাবাডি টুর্নামেন্ট। আয়োজকদের লক্ষ্যটাও অভিন্ন। কাবাডি খেলা নিয়ে দর্শকদের এমন উন্মাদনায় বিস্মিত তারাও। সেজন্য আগামীতে আরও বড় পরিসরে এবং বেশি সংখ্যক দল নিয়ে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেন তারা।
মীর টি আই ফারুক রিজভী বলেন, হারিয়ে যাওয়া কাবাডিকে আবার আমাদের মধ্যে ফিরিয়ে আনতে চাই, আমাদের লক্ষ্য খেলাধুলার মাধ্যমে যুবসমাজকে মাদক থেকে ক্রীড়ামুখী করা এবং দেশের উন্নয়নে তারা যেন সক্রিয় এবং গতিশীল ভূমিকা রাখতে পারে সে লক্ষ্যে সব ধরনের উদ্যোগের সঙ্গে থাকা।
টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফিসহ এক লাখ টাকা ও রানার্সআপ দলকে ট্রফিসহ ষাট হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান দৌলতপুর উপজেলা দলের মিজানুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
কেএসএইচ/এইচএ/