ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

এশিয়াডে বাংলাদেশের পতাকা ওড়াবেন মাবিয়া

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৮
এশিয়াডে বাংলাদেশের পতাকা ওড়াবেন মাবিয়া মাবিয়া আক্তার সীমান্ত-ছবি: শোয়েব মিথুন

গত মঙ্গলবার (৭ জুলাই) ছিল ২০১৬ সালের এসএ গেমসে স্বর্ণপদকজয়ী ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্তের জন্মদিন। জন্মদিনে দারুণ এক উপহার পেয়েছেন তিনি। এবারের এশিয়ান গেমসে মার্চ পাস্টে দেশের পতাকা বহন করবেন তিনি, যা তার কাছে জন্মদিনের ‘সেরা উপহার’।

আগামী ১৮ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও পালেমবাংয়ে অনুষ্ঠেয় ১৮তম এশিয়াডে লাল-সবুজের পতাকা এবার থাকবে মাবিয়ার হাতে, বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) পক্ষ থেকে মঙ্গলবার এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। নিশ্চিত করেছেন মাবিয়া নিজেও।

 

বাংলানিউজের সঙ্গে কথোপকথনে মাবিয়া আক্তার সীমান্ত বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। অনেকদিন পর জন্মদিনে এমন আনন্দ লেগেছে। এবার এশিয়ান গেমসে আমার হাতে থাকবে দেশের পতাকা এটা ভাবতে অনেক ভালো লাগছে। এটা আমার জন্য অনেক বড় গর্বের বিষয়। এসএ গেমসে (২০১৬) স্বর্ণ জিতে দেশের পতাকা ওড়ানোর সৌভাগ্য হয়েছিল। এবার এশিয়ান গেমসে মার্চ পাস্টে দেশের পতাকা বহন করার সৌভাগ্য হচ্ছে আমার। এটাই আমার জন্মদিনের সেরা উপহার। ’

মাবিয়ার ঘরে শোভা পাচ্ছে এসএ গেমসে পাওয়া স্মারক-ছবি: শোয়েব মিথুন

এবার এশিয়াডে বাংলাদেশের একমাত্র ভারোত্তোলক হিসেবে অংশ নিচ্ছেন মাবিয়া। নিজের ইভেন্ট ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণীতেই লড়াই করবেন তিনি। এশিয়াডে নিজের প্রত্যাশা নিয়ে বাংলানিউজকে মাবিয়া বলেন, ‘অবশ্যই প্রত্যাশা অনেক। নিজের গড়া রেকর্ড ভাঙতে চাই। এর আগে ৬৩ কেজি বিভাগে ১৮০ কেজি পর্যন্ত ভারোত্তোলন করেছিলাম, এটা আমার ব্যক্তিগত রেকর্ড। এটাকে ছাড়িয়ে যেতে চাই। ’

আগামী ১৬ আগস্ট ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত।

.

২০১৬ সালের এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জেতার পর বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে নেপথ্যে জাতীয় সঙ্গীত বেজে উঠার পর অঝোরে কেঁদে ফেলার সেই দৃশ্য সবার নজর কেড়েছিল। কিন্তু সেই আসরের পর থেকে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার জন্য রীতিমত লড়াইয়ে নেমেছিলেন মাবিয়া আক্তার। গোল্ডকোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে ১৮০ কেজি তুলে নিজের ওজন শ্রেণিতে ষষ্ঠ হয়েছিলেন। কিন্তু এরপর আর বলার মতো কোনো অর্জন নেই। যার জন্য বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের ভূমিকাই দায়ী বলে জানান তিনি।

ফেডারেশনের কাছে বারবার ভাল জিমনেশিয়াম, দক্ষ কোচ চেয়েও পাননি মাবিয়া। শেষ পর্যন্ত গত এসএ গেমসে ব্রোঞ্জজয়ী ফিরোজা পারভিনকে তার কোচ হিসেবে নিয়োগ নেয় ফেডারেশন। শুধু বয়স বেশি হওয়ার কারণে ফিরোজার অধীনেই অনুশীলন করতে হয়েছে তাকে। ভালো বিদেশি কোচের চাহিদার কথা কানেই তোলেনি ফেডারেশন। তাই এশিয়াডে নিজের প্রস্তুতি নিয়ে কিছুটা ক্ষোভ ঝরে পড়ে তার কন্ঠে।

বাংলানিউজের সঙ্গে কথোপকথনে মাবিয়া আক্তার-ছবি: শোয়েব মিথুন

‘খুব বেশি আশা করার সুযোগ নেই। আমি নিজে থেকে প্রস্তুতি নেয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় তা আশা জাগানিয়া নয়। যদি সুযোগ-সুবিধা ঠিকঠাক পেতাম তাহলে প্রত্যাশা আরও ভাল কিছু হতে পারত। এশিয়ান গেমসের আগে মাত্র দেড় মাস অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছি। এটা যথেষ্ট নয়। আমাকে আরও ভাল করার সুযোগ তো দিতে হবে। ধারাবাহিক অনুশীলনের ব্যবস্থা না থাকলে কারও পক্ষেই ফর্ম ধরে রাখা সম্ভব নয়। ঠিকঠাক সুবিধা পেলে কমনওয়েলথ গেমসে অন্তত ব্রোঞ্জপদক পেতাম। ’

আপাতত খুব বেশি প্রত্যাশা না থাকলেও এশিয়াডে দেশের পতাকা বহন করার সুযোগ পেয়েই আনন্দিত মাবিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৮
এমএইচএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।