ইএসপিএনের এই কার্যক্রমে তাদের সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন আশ্রিন।
নারী বাস্কেটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আশ্রিনের পাশাপাশি এই কার্যক্রমে আরও যোগ দেবেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আরও ১৬ জন আন্তর্জাতিক অ্যাথলেট। যারা নিজ নিজ দেশের খেলাধুলায় নারী শক্তির উন্নয়নে কাজ করবেন। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে আশ্রিনদের এই কার্যক্রম।
নিজের এই নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেন আশ্রিন। জানান তার উচ্ছ্বাসের কথাও। বলেন, ‘পুরো বিশ্বের ১৪০টা দেশ থেকে মাত্র ১৬ জন নারীকে তারা নির্বাচিত করেছে। এটা অনেক বড় সম্মানের। সৌভাগ্যবশত আমি সেই ১৬ জনের একজন। প্রথম বাস্কেটবল নারী খেলোয়াড় হিসেবে এবছর নির্বাচিত হয়েছি। ’
‘এটা আরও অনেক নারীকে খেলাধুলায় এগিয়ে আসতে উৎসাহ দেবে। এভাবেই ছোট ছোট পাওয়া থেকে বড় কিছু হবে। আমি বাংলাদেশ নারী বাস্কেট বল দলের সঙ্গে শুরু ২০০৯ থেকেই আছেই। আমি মনে করি নারী বাস্কেটবল মূল ধারার খেলায় নিয়ে আসতে আরও কাজ করতে হবে। যেভাবে আমাদের নারী ক্রিকেট দল ও নারী ফূবলের দিকে ফোকাস করা হচ্ছে। ’
২০০৯ সাল থেকে ৯টি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নেন আশ্রিন। এর মধ্যে ২০১৬ সালের দক্ষিণ এশিয়ান নারী বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশীপেও অংশ নেন তিনি। একই বছর কলকাতা-বাংলাদেশ প্রীতি সিরিজেও খেলেন তিনি, যেখানে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশে নারী শক্তির সচেতনতা বৃদ্ধিতে বাস্কেটবল ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন আশ্রিন। বলেন, ‘আমি আশা করি এই কার্যক্রমের শিক্ষা আমাকে বাংলাদেশে বাস্কেটবলের উন্নয়নে আরও সহজ পথ দেখাবে। যতদিন আমি দলে খেলতে পারবো, আমি চেষ্টা করবো আরও বেশি নারীকে এতে সংযুক্ত করতে। তাদের উৎসাহ ও উন্নয়নে কাজ করবো। যা দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
এমকেএম