তিনি বলেন, আমরা আগামীতে ক্রীড়াসেবীদের জন্য প্রতিমাসে সম্মানী ভাতা চালু করতে চাই। আগামী অর্থবছর থেকে এই সম্মানী ভাতা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৬ মে) জাহিদ আহসান রাসেল দুপুরে সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অস্বচ্ছল ও অসমর্থ ক্রীড়াসেবীদের এককালীন অনুদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সারা দেশের ১ হাজার ৫০ জন অস্বচ্ছল ও অসমর্থ ক্রীড়াসেবীর মধ্যে ১৫ হাজার টাকা করে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন গত ২০১০-১১ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত ৪ হজার ১৮৬ জনকে ৫ কোটি ৮২ লাখ ১০ হাজার অনুদান দিয়েছে।
এই কল্যাণ ফাউন্ডেশন ও ভাতা বঙ্গবন্ধু চালু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু নিজে এ সংস্থার নামও দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফউন্ডেশনের ফান্ডে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আগামীতে যাতে আরো বাড়ানো যায় আমরা সেই চেষ্টা করছি। আমরা এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ক্রীড়াসেবীদের আর্থিক সহযোগিতা করতে চাই।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে যুব ও ক্রীড়াপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছর থেকে আমরা প্রতিমাসের এই সম্মানী ভাতা চালু করতে চাই। আগামী বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে। সারা দেশ থেকে অনলাইনে আবেদন নেওয়া হয়। এছাড়া জেলা প্রশাসকরাও একটা তালিকা পাঠান। এই আবেদনগুলো একটি বাছাই কমিটিতে আসে। বাছাই কমিটি যাচাই-বাছাই করে বোর্ডে পাঠায়। এরপর বোর্ড তালিকা চূড়ান্ত করে। আমরা বলতে পারি এই বাছাই প্রক্রিয়া মোটামুটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়াতেই হয়। তবে আগামীতে এই প্রক্রিয়া শতভাগ স্বচ্ছ করা হবে। এ সংস্থার একটি আলাদা ভবন করার চেষ্টা করছি আমরা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সচিব আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৯
এসকে/এএ