শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় এ ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার স্কুল সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় বালুর চরের এ ফুটবল মাঠের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলতে থাকে শিশুদের দুরন্তপনা।
শিশুদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যমুনার চরে যেসব শিশুরা ফুটবল খেলতে এসেছে তারা সবাই সারিয়াকান্দি উপজেলার গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। স্কুল ছুটি থাকায় যমুনার বালু চরের এ মাঠে চারটি দলে ভাগ হয়ে তারা ফুটবল খেলছে।
ফুটবল খেলোয়াড় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র রাকিব বাংলানিউজকে বলে, স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা নিজেদের মধ্যে চারটি দলে ভাগ হয়ে যমুনার চরে ফুটবল খেলতে এসেছি। তাদের দলগুলোকে ফুটবল বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ফ্রান্স ও ইটালি নাম করণে বিভক্ত করা হয়েছে।
যমুনার চরে শিশুদের ফুটবল দলের রেফারির দায়িত্ব পালন করে স্কুলছাত্র এনামুল। তাকে বাঁশির ফুঁতে ফাউল, কর্নারসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে।
রেফারি এনামুল বাংলানিউজকে বলে, আমরা চারটি দলে ভাগ হয়ে যমুনার চরে ফুটবল খেলতে এসেছি। প্রতিটি দলে ছয়জন করে খেলোয়াড় ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এ চারটি দলের নাম করণ করা হয়েছে 'ফুটবল বিশ্বকাপে'র সেরা চারটি দেশের নামে।
এ ফুটবল খেলায় দেখা যায়, প্রতিটি দলকে খেলার জন্য ৩০ মিনিট করে সময় বেধে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৫ মিনিট অন্তর ১-২ মিনিট করে এক্সট্রা সময়ও দেওয়া হয় প্রতিটি দলকে। হাফ টাইমের জন্য কিছু সময় বিরতি দেওয়াসহ এক্সট্রা সময় শেষে রেফারির বাঁশির ফুঁতে প্রতিটি দলের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করে রেফারি এনামুল। চরের নরম বালুতে এ শিশু খেলোয়াড়দের খেলার নিয়ম-কানুন কোনো অংশেই যেন 'বিশ্বকাপ ফুটবল' খেলার নিয়মের বাহিরে নয়। খেলায় একাধিক ফুটবলও ছিল তাদের। ডি-বক্স এরিয়ায় হ্যান্ডবলে ফাউলের জন্য পেনাল্টিও দেওয়া হয়েছে।
কোমলমতি এসব শিশুদের খেলায় যেমন আনন্দ লক্ষ্য করা যায়। তেমনি নিয়মের মধ্য দিয়ে তারা সব কয়টি দলের খেলা শেষ করে।
যমুনার চরে শিশুদের ফুটবল দলে ছিল স্কুলছাত্র লতিফ হাসান, আহসান, জুয়েল, ইমরান, হাবিব, ফজলু শেখ, সাকিব, জয়নাল, মিলন, সম্রাট, লিটন, মোমিন, কামাল, ইমন, কুমারসহ বেশ কয়েকজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
কেইউএ/আরআইএস/