আফগানিস্তান ক্রিকেটের কার্যক্রম ঠিকঠাক রাখতে আইসিসি’র কাছ থেকে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা চেয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এসিবি’র অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী নাজিম জার আবদুলরহিমজাই।
করোনা মহামারির কারণে এশিয়া কাপ ও ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এসিবি। এই দুই টুর্নামেন্টে অংশ নিলে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় হতো তাদের। যদিও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ও আইসিসি’র সদস্যদের মধ্যে রাজস্ব ভাগাভাগি হয় বছরভিত্তিতে, টুর্নামেন্ট ভিত্তিতে নয়।
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো নির্দিষ্ট সময়ে অর্থের ভাগ পেয়ে যায়। কিন্তু অত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা এসিবি’র পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না, কারণ তাদের মূল পৃষ্ঠপোষক ‘আলোকোজাই গ্রুপ অব কোম্পানিজ’ (এজিসি) গত বছর চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছে।
সমস্যা আরও বাড়িয়ে এসিবি’র সঙ্গে ভারতভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘টাইকা’ দুই বছরের চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে। ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত এসিবি’র সঙ্গে থাকার কথা ছিল তাদের। কিন্তু করোনার কারণে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সরে গেছে প্রতিষ্ঠানটি।
আইসিসি’র প্রস্তাবিত রাজস্ব মডেল অনুযায়ী, ২০১৬-২৩ বর্ষচক্রের বাণিজ্যিক স্বত্ব থেকে প্রায় ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হবে। এ থেকে এসিবি পাবে প্রায় ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু আয় কমে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়বে রাজস্ব ভাগাভাগিতেও। গত জানুয়ারিতে আইসিসি’র কাছ থেকে নিজেদের ভাগের ২.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পেয়েছে এসিবি।
অব্যবস্থাপনা ও অসদাচরণের দায়ে বরখাস্ত হওয়া এসিবি’র সাবেক প্রধান নির্বাহী লুতফুল্লাহ স্টানিকজাইয়ের স্থলাভিষিক্ত হওয়া নাজিম ক্রিকবাজ’কে বলেন, ‘আমরা আইসিসিকে অনুরোধ করেছি যাতে তারা এসিবিকে ঠিকঠাকভাবে পরিচালনার জন্য আমাদের ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২০
এমএইচএম