উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফুটবলের সেমিফাইনালে উঠেছে লিপজিগ। দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ১১ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হওয়া জার্মান ক্লাবটি।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দিনগত রাতে পর্তুগালের লিসবনের স্তাদিও জোসে আলভালাদে স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে বল দখলে আধিপত্য দেখায় লিপজিগ। তবে দলই গতিময় ফুটবল উপহার দিতে থাকে। ম্যাচের ১০ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল অ্যাতলেটিকো। স্তেফান সেভিকের নেওয়া জোড়ালো শট ফিরিয়ে দেন লিপজিগ গোলরক্ষক।
বল দখলে আধিপত্য দেখানোর কারণে অ্যাতলেটকোর রক্ষণে বারবার আক্রমণ চালাতে থাকে লিপজিগ। ১৭ মিনিটে গোলে সুযোগ নষ্ট করেন কেভিন কাম্পল। ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থেকেও তা নেওয়া শটটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর বেশ কয়েকবার আক্রমণ করেও ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলে দেখা পাচ্ছিল না লিপজিগ। ফলে প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে।
বিরতির পর শুরুতেই এগিয়ে যায় লিপজিগ। ৫০ মিনিটে সাফল্যের দেখা পায় জার্মান ক্লাবটি। পেনাল্টি বক্সের ডান দিক দিয়ে মার্সেল স্যাব্লিটজারের বাড়ানো ক্রস খীপ্রগতি হেড দিয়ে বল জালে পাঠান দানি ওলমো। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় লিপজিগ।
পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের গতি বাড়িয়ে দেয় অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। সাফল্য আসে ৭১ মিনিটে। পেনাল্টি বক্সের ভেতরে লিপজিগ ডিফেন্ডার লুকাস ক্লোসটারম্যান ফাউল করেন অ্যাতলেটিকোর জোয়াও ফেলিক্সকে। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করে অ্যাতলেটকোকে ১-১ গোলে সমতায় ফেরান ফেলিক্স।
তবে ম্যাচের নাটকীয়তা দেখা যায় শেষ মুহূর্তে। ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের বাম দিক থেকে অ্যাঙ্গেলিওর বাড়ানো বল পেয়ে যান ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা টেইলর অ্যাডামস। তার ডান পায়ের নেওয়া জোড়ালো শট অ্যাতলেটকোর ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে বল জালে জড়ায়।
বায়ার্ন মিউনিখ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড এবং ২০১০-১১ মৌসুমে শালকে ০৪ এর পর চতুর্থ জার্মান দল হিসাবে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিলো লিপজিগ। আগামী ১৮ আগস্ট প্রথম সেমিফাইনালে পিএসজির মুখোমুখি হবে লিপজিগ।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২০
আরএআর/জেআইএম