সাভার (ঢাকা): ফুটবলে বিবাহিতদের হারিয়ে ষাঁড় জিতেছেন অবিবাহিতরা। হ্যাঁ, সরকার বার বার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিড় এড়িয়ে ঈদ উদযাপন করতে বললেও সে কথা কানে তুলছেন না জনগণ।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুক্রবার (১৪ মে) বিকেলে আশুলিয়ার দিয়াখালি এলাকার একটি ধান খেতের পাশে বিবাহিত বনাম অবিবাহিতদের এ ফুটবল ম্যাচটি আয়োজন করেন ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বকুল হোসেন সরকার।
খেলার খবর শুনে সেখানে গিয়ে খেলোয়াড় বা আয়োজক-কারো মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি। ঈদের দিন হওয়ায় ঘুরতে আসা লোকজনও গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে বা বসে খেলা দেখেছেন। এভাবেই হাজার হাজার মানুষ খেলাটি উপভোগ করেন। বেশিরভাগ দর্শণার্থীও ছিলেন মাস্ক ছাড়া।
জানা গেছে, ষাঁড়-খাসি পুরস্কার ঘোষণা করে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত খেলোয়াড় ফুটবলের প্রীতি ম্যাচটির আয়োজন করা হয়। থানা বা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অনুমতি না নিয়ে আয়োজন করা খেলায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়ার রাজনৈতিক নেতারা।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বকুল হোসেন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, পুরস্কার হিসেবে ষাঁড় আর খাসি রাখা হইছিল। এলাকার মুরব্বি আর পোলাপাইন মিলা আমাকে নিয়ে খেলাটা আয়োজন করছে৷
করোনা ঝুঁকির মধ্যে এমন আয়োজন কতটা যৌক্তিক, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমনিতে ‘লকডাউনের’ ভেতর কোনো মানুষ নিচে নামে নাই। মানুষ সব ফাঁকা হয়ে দাঁড়াইছে। চারপাশ দিয়ে রাস্তা দিয়ে লোকজন ছিল।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত বাংলানিউজকে বলেন, খেলার কোনো সংবাদ আমাদের কাছে আসেনি বা আমাদের কেউ জানায়নি। এ সময়ে এমন কিছু করতে হলে অবশ্যই আমাদের জানাতে হবে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সায়েমুল হুদার বাংলানিউজকে বলেন, এ সময় সব ধরনের গণজমায়েত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এগুলো করা যাবে না। বিষয়টি নিয়ে আমি এসিল্যান্ডের সঙ্গে কথা বলছি।
প্রীতি এ ফুটবল ম্যাচে অবিবাহিত দল বিজয়ী হয়েছে। পুরস্কার হিসেবে দলটি পেয়ে একটি ষাঁড়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২১
এসআই