করোনা মহামারীর মধ্যেই চলছে টোকিও অলিম্পিক। বিশ্বের সেরা এই ক্রীড়াযজ্ঞে অংশগ্রহণ করেছেন বিভিন্ন দেশের সেরা অ্যাথলেটরাই।
যদিও অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করাই একপ্রকার সাফল্য। তবে গেমসে স্বর্ণ জিতলে সরাসরি ইতিহাসের হাতছানি। তবে কখনো কি কেউ ভেবে দেখেছেন অলিম্পিকে স্বণের বর্তমান বাজারদর কত?
টোকিও অলিম্পিকে প্রথমবার পুনরায় ব্যবহারযোগ্য পুরোনো ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য দিয়ে পদক বানানো হয়েছে। যে ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য দিয়ে অলিম্পিক পদক বানানো হয়েছে, তা জাপানবাসীরা দান করেছেন। জানা গিয়েছে, পদক তৈরির জন্য ৬২ লাখ পুরোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৩২ কেজি স্বর্ণও লেগেছে পদক তৈরির সময়।
অলিম্পিকের স্বর্ণ পদকের ওজন ৫৫৬ গ্রাম। রুপা এবং ব্রোঞ্জ পদকের ওজন যথাক্রমে ৫৫০ এবং ৪৫০ গ্রাম। বাংলাদেশে স্বর্ণের বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী, সোনার পদকের মোট দাম হওয়া উচিত (২২ ক্যারেট ভরি ৭১,৯৬৭ ও এক গ্রাম ৬১৭০) ৩৪ লাখ টাকারও বেশি। তবে ব্যাপারটা মোটেও এত সহজ নয়। স্বর্ণব্যবসায়ীর কাছে যদি কেউ পদক বিক্রি করতে যান, তাহলে ১ লাখ ৮৫২০ টাকার মতো পাবেন।
কেন এমন? ব্যাপারটা খোলসা করে বলা যাক, ৫৫৬ গ্রাম স্বর্ণের পদকের দাম কেন এত কম? ৫৫৬ গ্রাম পদকের মোট ওজন হলেও স্বর্ণ রয়েছে মাত্র ৬ গ্রাম। বাকি ৫৫০ গ্রাম পুরোটাই রুপা। সেই অনুযায়ীই স্বর্ণের দাম ৩৭ হাজার ২০ টাকা! রুপার দাম বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী (২২ ক্যারেট ১৫১৬ টাকা ও এক গ্রাম ১৩০ টাকা) ৭১ হাজার ৫০০ টাকা। সবমিলিয়ে দাম ১ লাখ ৮৫২০ টাকা। তবে অলিম্পিকের স্বর্ণপদক কেই বা আর বাজারের নিক্তিতে মাপতে গিয়েছেন!
যাইহোক, টোকিও অলিম্পিকে অ্যাথলেটদের পদক দেওয়া হচ্ছে বিশেষ এক বাক্সে। সেই বক্সের আচ্ছাদন আবার কাঠের বিশেষ শেল দিয়ে তৈরি। জাপানের ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে সেই কাঠের বাক্সে। প্রতিটা বক্সের প্যাটার্ন আবার আলাদা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২১
এমএমএস