ঢাকা: যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার প্রবর্তন করেছে।
সাতটি ক্যাটাগরিতে মোট ১০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও দুইটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
আজীবন সম্মাননায় কাজী মো. সালাউদ্দিন, ক্রীড়াবিদ হিসেবে মাহফুজা খাতুন শিলা (সাঁতার), রোমান সানা (আরচ্যারি), মাবিয়া আক্তার সীমান্ত (ভারত্তোলন), ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে মনজুর কাদের (শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব) এবং ক্যা শৈ ল হ্ন (কারাতে ফেডারেশন), উদীয়মান ক্রীড়াবিদ হিসেবে আকবর আলী (ক্রিকেট) ও ফাহাদ রহমান (দাবা), উন্নতি খাতুন (ফুটবল), ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশন/সংস্থা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এবং পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ওয়ালটন।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শেখ কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের পুরস্কার দিবেন বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী জানান, পুরস্কার হিসেবে প্রত্যককে এক লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ দেওয়া হবে।
বুধবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে আয়োজিত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় শহীদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার ২০২১ প্রদান অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন একজন স্বাপ্নিক তরুণ। বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে প্রচলিত সনাতনী ক্রীড়া-উন্নয়ন ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে তিনি বাংলাদেশের আধুনিক ও আন্তর্জাতিকমানের ক্রীড়া প্রবর্তনে প্রয়াসী হয়েছিলেন। অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতায় তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আবাহনী ক্রীড়া চক্র। ক্রীড়ানুরাগী, সংস্কৃতিমনা, তারুণ্যদীপ্ত মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছেন। জাতির এ কীর্তিমান তরুণ শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের অবদানকে স্বরণীয় এবং তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরুপ ক্রীড়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিস্তৃত কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
বেলা ১১টায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শেখ কামাল মিলনায়তনে শহীদ শেখ কামালের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন ও আদর্শ নিয়ে আলোচনা সভা ও শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী শহীদ শেখ কামালকে নিয়ে প্রকাশিত স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করবেন।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর সংস্থা কোরআন খতম দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা আয়োজন করবে। বিকেএসপি শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি করা হবে।
গতবছর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সরকারিভাবে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ কামালের ৭১ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করে এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ শেখ কামালের জন্মদিন ৫ আগস্টকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে জাতীয় ভাবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২১
এমআইএইচ/কেএআর