বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ
শেষ কয়েক টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতা যেন বাংলাদেশের নিয়মিত দৃশ্য হয়ে পড়েছিল। সর্বশেষ অ্যান্টিগা টেস্টেও প্রথম দিন লাঞ্চে গিয়েছিল ৬
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট যেন এক গোলকধাঁধাঁ। কখনো মনে হয় ব্যাটিংটা আরেকটু ভালো হলে হতো, কখনো বোলিং। ব্যাটাররা কখনো স্পিনারদের
প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসারদের বিপক্ষে ভুগেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে অলআউট হয়ে যায়, ৬ ব্যাটার ডাক
দল থেকে বাদ পড়ার পর অনেকটা আড়ালেই চলে গিয়েছিলেন এনামুল হক বিজয়। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করে আবার কক্ষপথে ফিরেছেন এই
অ্যান্টিগায় দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ। দুই ইনিংসেই সফরকারীরা পড়েছে
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আরও একবার ফুটে ওঠেছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হতশ্রী দশা। প্রথশ ইনিংসে ডাক মেরেছিলেন ৬ ব্যাটার, দলীয় সংগ্রহ
হার কি স্বস্তির হয়? হয় না। তবে কোনো দল প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে অলআউট হয়েও ইনিংস না হারলে আলাপটা ভিন্ন। অ্যান্টিগা স্টেডিয়ামের বাইরে
বাংলাদেশ কি জিততে পারে? সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবুও একদম ছিটকে দেওয়া যাচ্ছে না মাঝ থেকে, এটাই বোধ হয় দিনের একটি ভালো সেশনের প্রাপ্তি।
এই সেশনটি কেবল বাংলাদেশেরই-এমন বললে একটুও ভুল বলা হবে না। ম্যাচের অষ্টম সেশনে এসে একটি উইকেটও পড়েনি। ক্রিজে ছিলেন বাংলাদেশেরই দুই
ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন সাকিব আল হাসান। দলের বিপর্যয়ে হাল ধরলেন আরও একবার। টানা তিন ইনিংসে হাঁকালেন ফিফটি। অ্যান্টিগার
ব্যাটিং ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারল না বাংলাদেশ। পুরোনো রোগের দেখা মিলল আরেকবার। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন ব্যাটাররা। এক
১১২ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। ব্যাটারদের দরকার ছিল স্থিরতা ও ধৈর্য। নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য ছিলেন
সুযোগ মিসের দিন? বলা যায়। দিনটা তো তাহলে ঘুরে দাঁড়ানোরও। কিন্তু দিনের শেষে আবার তো হারাতে হলো দুইটি উইকেটও। সব মিলিয়ে অম্লমধুর এক
ইনিংসজুড়ে খালেদ আহমেদকে নিয়ে হতাশাটা বাড়ছিল। একদিকে এবাদত হোসেন-মোস্তাফিজুর রহমানরা চাপ বাড়াচ্ছিলেন, আরেকদিকে আলগা বল করছিলেন
এমনিতেই স্কোরকার্ডে রান কম। এমন ম্যাচে প্রতিটি সুযোগই কাজে লাগানো ভীষণ জরুরি। অথচ হাফ চান্স তো দূর, বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারছে না