ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

খুলনায় বজ্রবৃষ্টিতে আতঙ্কিত মানুষ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
খুলনায় বজ্রবৃষ্টিতে আতঙ্কিত মানুষ

খুলনা: হঠাৎ অন্ধকারে ছেয়ে গেলো গোটা আকাশ। মুহূর্তেই শুরু হলো অঝোর বৃষ্টি। 

বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার পর থেকে খুলনায় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। একইসঙ্গে চলতে থাকে একের পর এক বজ্রপাত।

এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানুষজন। ভ্যাপসা গরমের পর বৃষ্টিতে স্বস্তি নেমে এলেও ভয়ঙ্কর শব্দে তা ম্লান হয়ে যায়।

হঠাৎ বজ্রবৃষ্টি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরজীবনে ছন্দপতন ঘটে। বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েন নগরবাসী। বৃষ্টি চলাকালে বিদ্যুৎ ছিল না নগরের অধিকাংশ এলাকায়।

এদিকে অবিরাম বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে খুলনা মহানগরের বিভিন্ন সড়কে। বিশেষ করে রয়্যালের মোড়, বাইতি পাড়া, তালতলা, শান্তিধাম মোড়, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, সাতরাস্তার মোড়, শামসুর রহমান রোড, ছোট মির্জাপুর রোড, খানজাহান আলী রোড, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, বাবুখান রোডে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।  

হঠাত বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা।  ছবি: বাংলানিউজ

জলাবদ্ধতার কারণে পথচারী, শিক্ষার্থী ও অফিস ফেরত মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। অঝোর বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট যানবাহন শূন্য হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগের মাত্রা হয়ে দাঁড়ায় দ্বিগুণ।  

শান্তিধাম মোড়ের প্রফেসর ইব্রাহীম বলেন, ভয়ঙ্কর বজ্রপাতের শব্দে আমরা আতঙ্কিত হয়ে গেছি।

মহানগরের ময়লাপোতার মোড়ের ইউনি ভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল হোসাইন বলেন, এতো বেশি বজ্রবৃষ্টি জীবনে এই প্রথম দেখলাম। আল্লাহ সবাইকে রক্ষা করুন!

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন,  জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এ বজ্রবৃষ্টি হয়েছে। সমুদ্রবন্দরের জন্য কোনো সংকেত নেই। নদীবন্দরের জন্য এক নং সংকেত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা,  সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
এমআরএম/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।