ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

পরিবারও জিজ্ঞেস করে, জিততে পারছ না কেন: তাসকিন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (স্পোর্টস) | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
পরিবারও জিজ্ঞেস করে, জিততে পারছ না কেন: তাসকিন

‘বিদেশ থেকে আসছে...’ দলের পারফরম্যান্সের ব্যর্থতার ঘাটতি খুঁজতে গিয়ে কথাটা বললেন তাসকিন আহমেদ। বিদেশি এক বোলার ঠিকঠাক বোলিং না করার আফসোস তার।

বিপিএলে রেকর্ড টানা আট হারের পর দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়কের কণ্ঠে ভেসে এলো গভীর দীর্ঘশ্বাস।

এর আগে ২০১২ সালে টানা সাত ম্যাচ হেরেছিল সিলেট সিক্সার্স। শনিবার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে হারের পর সেটিকে ছাড়িয়ে গেছে ঢাকা। গত তিন ম্যাচ ধরে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির নেতৃত্বের ভার তাসকিনের কাছে। ঢাকার এমন হারের কারণ কী?

তিনি বলেন, ‘এটা তো টিম গেম। দুজন-চারজন কোনো না কোনো জায়গায় খারাপ খেলেই ফেলছে। নাম নেবো না। কারণ এটা টিম গেম। আজ এ খারাপ করেছে, কাল ও, একদিন আমি। এভাবে আমরা খারাপ করেছি। জেতা ম্যাচগুলো দূর্বলতার কারণে হেরে গেছি। এটা অবশ্যই ভালো অনুভূতি নয় অবশ্যই। আমাদেরও পরিবার আছে। তারাও জিজ্ঞেস করে, জিততে পারছ না কেন? ব্যাটিং বা বোলিং কোনো জায়গায় হেরেই যাচ্ছে। ’ 

বিপিএলে এবার ৯ ম্যাচের কেবল একটিতে জিতেছে ঢাকা। অথচ দলটির ওপেনার নাঈম শেখ ২৬৬ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, সবচেয়ে বেশি ১৭ উইকেট শরিফুল ইসলামের। এখনও বাকি তিনটি ম্যাচ, সেখানে কোন প্রাপ্তির আশা ঢাকার?

তাসকিন বলেন, ‘দলে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় তো ভালো খেলেছে। নাঈম শেখ সর্বোচ্চ রান করেছে। শরিফুল সর্বোচ্চ উইকেট। ওরা যদি ভালোভাবে শেষ করতে পারে কিছু প্রাপ্তি তো থাকবেই। ভালো শেষ করলে একটু শান্তি পাওয়া যাবে। সবার তো ক্যারিয়ারের বিষয় আছে। আইকন ক্রিকেটার হিসেবে প্রত্যাশা তো থাকে আমার কাছে। আমিও যেন একটু ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। ’ 

‘টুর্নামেন্টের ৭০ ভাগ শেষ। ওভারঅল দুইটা ম্যাচ ছাড়া বেশিরভাগ ভালো ক্রিকেট খেলা হয়নি। ব্যাটিংয়ে বেশিরভাগ ম্যাচে আমরা ফেল করেছি। আমার মনে হয় আরো ভালো ক্রিকেট খেলা উচিত ছিল। তাছাড়া হারতে থাকলে মোরালি ডাউন থাকে। তখন কিছু না কিছু মিসটেক হয়েই যায়। এখন দোষ বের করলে তো অনেক সমস্যা বের হবেই। তিনটা ম্যাচ আছে, ভালো ক্রিকেট খেলে যতটা শেষ করা যায়। ফ্র্যাঞ্চাইজির তো প্রত্যাশা থাকে যেন আমরা জিতি। ’ 

টুর্নামেন্টে এখন কিছুই পাওয়ার নেই তাসকিনদের। এমন সময়ে এসে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা অনেক সময় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। তাসকিনদের ক্ষেত্রে তেমন হয়নি বলেই জানিয়েছেন। এই পেসারের আফসোস আছে তিন বছর ধরে প্লে-অফ খেলতে না পারারও।

তিনি বলেন, ‘ব্যবহার কেউ খারাপ করেনি। নিজেরই একটু লজ্জা লাগে। সবাই তো আসলে প্রত্যাশা করে সবাইকে নেয়। ব্যয় করে অনেক আশা নিয়ে। যখন টিম রেজাল্ট করে না নিজেরই খারাপ লাগে। আমি আমার দিক থেকে শতভাগ দেয় চেষ্টা করছি, এটাই আমার হাতে আছে। মালিকপক্ষ খোঁজখবর নিচ্ছে। আজও লাঞ্চ হলো একসঙ্গে। ’

‘আমি অনুভব করি এটা। মাঝে মাঝে এই অনুভবটা হয় যে…আমার দল এ নিয়ে তিন বছর প্লে-অফে যায়নি। রেজাল্টও ভালো করেনি। মাঝে মাঝে খারাপ লাগে। আমি সেদিনও বলেছিলাম, আইকন বা ডিরেক্ট সাইনিং হিসেবে একজনকে নেওয়া যায়। তখন দেখা যায় বেটার বেনিফিটে আমি ডিরেক্ট সাইনে যাই। পরে দল যখন ওভাবে রেজাল্ট করে না তখন খারাপ লাগে। এখন কিছু করার নেই আসলে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।