শ্রীলঙ্কার তরুণ অলরাউন্ডার দুনিথ ভেল্লালাগে এশিয়া কাপ ২০২৫–এর গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানকে হারানোর পর দলের সঙ্গে উদযাপনের সুযোগই পাননি। ম্যাচ শেষে তাকে জানানো হয় বাবার মৃত্যু সংবাদ।
খেলার মাঝেই তার বাবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান, তবে টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর খবর দেওয়া উত্তম হবে। ভেল্লালাগে পরের দিনই আবুধাবি থেকে দেশে ফিরে যান।
এমন হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি ক্রিকেটে নতুন নয়। অতীতে আরও কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার মাঠে দায়িত্ব পালনের সময়ই ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডির মুখোমুখি হয়েছেন।
শচীন টেন্ডুলকার (ভারত)
১৯৯৯ বিশ্বকাপ চলাকালে শচীন টেন্ডুলকারের বাবা রমেশ টেন্ডুলকার মারা যান। শচীন দেশে ফিরে শেষকৃত্যে অংশ নেন এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ মিস করেন। কিন্তু দায়িত্ববোধে তিনি দ্রুত ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন এবং কেনিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত ১৪০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন, যা তিনি বাবাকে উৎসর্গ করেছিলেন।
বিরাট কোহলি (ভারত)
২০০৬ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সী বিরাট কোহলি রঞ্জি ট্রফিতে দিল্লির হয়ে খেলছিলেন। মাঝরাতে বাবার মৃত্যু সংবাদ পান তিনি। পরদিন সকালে ৪০ রানে অপরাজিত অবস্থায় ব্যাট হাতে মাঠে নেমে যান এবং গুরুত্বপূর্ণ ৯০ রান করে দলকে ফলো-অন এড়াতে সাহায্য করেন। এই ইনিংসই তার মানসিক দৃঢ়তার পরিচায়ক হয়ে ওঠে।
মোহাম্মদ সিরাজ (ভারত)
২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় বাবার মৃত্যু সংবাদ পান মোহাম্মদ সিরাজ। কোভিড প্রোটোকল ও ভ্রমণ বিধিনিষেধের কারণে তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। দলকে সঙ্গ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং সেই সিরিজেই টেস্ট অভিষেক হয় তার। ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে বড় অবদান রাখেন এই পেসার।
রশিদ খান (আফগানিস্তান)
২০১৮ সালে বিগ ব্যাশ লিগে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলার সময় বাবার মৃত্যু সংবাদ পান রশিদ খান। এরপরও তিনি দলে থেকে পরদিন মাঠে নামেন। অল্প বয়সেই ক্রিকেটের প্রতি তার দায়বদ্ধতা প্রশংসিত হয়।
দুনিথ ভেল্লালাগে (শ্রীলঙ্কা)
সবশেষ ঘটনাটি ঘটল দুনিথ ভেল্লালাগের সঙ্গে। আফগানিস্তানকে হারানোর পর দলের সঙ্গে উদযাপনে অংশ নিতে না পেরেই বাবার মৃত্যু সংবাদ পান। ম্যাচ শেষে বিমানে উঠে দেশে ফেরেন তিনি।
এমএইচএম