মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ২৭৭ রান করে আইপিএলে দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়েছিল ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ভেঙেছিল ১১ বছর ধরে টিকে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর রেকর্ড।
চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই বেঙ্গালুরুর বোলারদের তুলোধুনো করে হায়দরাবাদের ওপেনাররা। ট্রাভিস হেড তো ছিলেন একদমই বিধ্বংসী রূপে। অভিষেক শর্মাকে সঙ্গে করে ১০৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তিনি।
অভিষেক ৩৪ রানে ফিরে গেলেও হেড তাণ্ডব চালাতেই থাকেন। মাত্র ৩৯ বলে স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি। যা আইপিএল ইতিহাসে চতুর্থ দ্রুততম। সেঞ্চুরির পর অবশ্য এই অজি ওপেনার অবশ্য মাত্র দুই বলই টেকেন। তবে বাকি ব্যাটারদের জন্য বিধ্বংসী শুরুর সুর বেঁধে দিয়েছেন। ৪১ বলে ৯ চার ও ৮ ছক্কায় ১০২ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
হায়দরাবাদের ঝড় তখনো থামার নাম নেই। হেডের জায়গায় বসে বেঙ্গালুরুর বোলারদের কচুকাটা করতে থাকেন হাইনরিখ ক্লাসেন। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে সেদিন ভয়ানক রূপে থাকা এই প্রোটিয়া ব্যাটার আজও ছক্কার বৃষ্টি বইয়ে দেন। খেলেন ৩১ বলে ২ চার ও ৭ ছক্কায় ৬৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস।
ক্লাসেন যখন আউট হন তখনো ইনিংস শেষ হতে তিন ওভার বাকি ছিল। সেই তিন ওভারে ৫৬ রান তোলেন এইডেন মারক্রাম ও আব্দুল সামাদ। ১৭ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় মারক্রাম ৩২ ও সামাদ ১০ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
সব মিলিয়ে এই ইনিংসে ২২টি ছক্কা মেরেছে হায়দরাবাদের ব্যাটার। যা টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। এর আগে একই মাঠে পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার বিপক্ষে ২১টি ছক্কা মেরেছিল বেঙ্গালুরু। হায়দরাবাদের সংগ্রহটি টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত বছর এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩ উইকেটে ৩১৪ রান করে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের ইতিহাস গড়ে নেপাল।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৪
এএইচএস