এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সবসময়ই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু। তবে জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা ও পরবর্তী সামরিক উত্তেজনার কারণে এবার ম্যাচ ঘিরে দেশজুড়ে বয়কটের ডাক উঠেছে।
এই প্রেক্ষাপটে ভারতের সহকারী কোচ রায়ান টেন ডেসকাট গণমাধ্যমকে আশ্বস্ত করেছেন যে, ক্রিকেটাররা দেশবাসীর অনুভূতি ও আবেগের সঙ্গেই একাত্ম এবং তাদের পারফরম্যান্সেই সেই প্রতিফলন ঘটবে।
ডেসকাট বলেন, ‘আশা করি আমাদের খেলার ভেতর দিয়েই বোঝা যাবে খেলোয়াড়রা দেশের জন্য কীভাবে অনুভব করে। আমি আবেগটা বুঝতে পারছি। তবে আমরা বিসিসিআই এবং সরকারের নির্দেশনা মেনেই চলছি। খেলোয়াড়রা নিশ্চয়ই ভারতীয় জনগণের অনুভূতি ও সহানুভূতি ভাগাভাগি করছে। ’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এশিয়া কাপ অনেকদিন অনিশ্চয়তায় ছিল। একসময় তো আমরা ভাবছিলাম টুর্নামেন্টই হবে না। পরে নিশ্চিত হওয়ার পরই প্রস্তুতির কাজে মনোযোগ দিই। ক্রিকেটের মাঠে আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। ’
প্রথম ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৯ উইকেটে হারালেও দলের কম্বিনেশন পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম বলে জানান স্যামসন-গিলদের কোচ, ‘পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। উইকেট ফেব্রুয়ারি-মার্চে হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির তুলনায় কিছুটা ভিন্ন। তবে প্রথম ম্যাচের কম্বিনেশনই সঠিক মনে হয়েছে। ’
স্পিনের গুরুত্বের বিষয়েও জোর দেন তিনি। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের কন্ডিশন অনুযায়ী স্পিনারদের ভূমিকা হবে গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের হয়ে প্রথম ম্যাচে খেলেছেন কুলদীপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তী, বাদ পড়েছেন বাঁহাতি পেসার অর্শদীপ সিং।
ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও হয়েছে আলোচনা। শুভমান গিলকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে দলে, ফলে সঞ্জু স্যামসনকে নেমে আসতে হয়েছে নিচে। কোচের মতে, ভারতের ব্যাটিং ইউনিটের বহুমুখিতা বড় শক্তিম ‘আমরা চাই এমন খেলোয়াড় যারা পরিস্থিতি অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকায় খেলতে পারবে। সঞ্জু, অক্ষর কিংবা হার্দিক—সবার মধ্যেই সে সামর্থ্য আছে। ’
এদিকে প্রতিপক্ষ পাকিস্তানও এসেছে নতুন রূপে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে খেলা দল থেকে এবার খেলছেন কেবল ফখর জামান ও শাহিন আফ্রিদি।
ডেসকাট বলেন, ‘পাকিস্তানও এখন বুঝে নিয়েছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কীভাবে খেলতে হয়। তাই এবার চ্যালেঞ্জ হবে ভিন্ন। ’
এমএইচএম