ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সশস্ত্র উত্তেজনার মধ্যে স্থগিত হয়েছিল চলমান ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এবং পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এলেও পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়।
তাদের অনেকেই ইতিমধ্যে নিজ দেশে ফিরে গেছেন এবং আপাতত দ্বিধায় আছেন—আসলে তারা আর ফিরবেন কি না এই দুই লিগের বাকি অংশে অংশ নিতে।
আতঙ্কিত অজি ক্রিকেটাররা
শুক্রবার ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চরমে পৌঁছালে তড়িঘড়ি করে স্থগিত করা হয় আইপিএলের চলতি মৌসুম। এরপরপরই অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা বিমানে উঠে পড়েন। একই চিত্র দেখা গেছে পিএসএলের খেলোয়াড়দের মধ্যেও—পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড লিগটি আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করলেও পরে সেই পরিকল্পনা বাতিল করে।
এর মাঝে শনিবার দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এলেও কাশ্মীরের শ্রীনগর ও জম্মুতে বিস্ফোরণের শব্দ, সেইসঙ্গে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ফের উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয়। যদিও হতাহতের খবর মেলেনি, তবুও স্নায়ুচাপ থেকে যাচ্ছে।
আইপিএল খেলোয়াড়দের অগ্রাধিকার এখন নিরাপত্তা ও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ
দ্য ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান জানিয়েছে, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা পরিস্থিতি নিয়ে বেশ “মানসিকভাবে নাড়া খেয়েছেন”। যারা আইপিএলে ছিলেন—যেমন প্যাট কামিন্স, ট্রাভিস হেড বা নাথান এলিস—তারা হয়তো ফিরবেন না, কারণ তাদের দলগুলোর প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া মাত্র এক-দুটি ম্যাচ বাকি থাকায় ফিরে এসে ঝুঁকি নেওয়ার যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না কেউই।
এর পাশাপাশি, ১১ জুন লন্ডনে শুরু হচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। ফলে নিরাপত্তাজনিত অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও খেলোয়াড়দের এখন নিজ নিজ জাতীয় দলের প্রতি মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
পিএসএলে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা: ‘মিসাইল হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে বের হয়েছি’
পাকিস্তানে অবস্থানরত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা ছিল আরও ভয়াবহ। দ্য ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলামাবাদ এয়ারবেস থেকে যারা বিমানে উঠেছিলেন, তারা কয়েক ঘণ্টা পরই জানতে পারেন সেই ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। অনেকেই বলছেন, এই কয়েক দিনের ঘটনাপ্রবাহ তাদের মানসিকভাবে কাবু করে দিয়েছে।
ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে সব কিছু
যদিও ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই তাদের প্রিমিয়ার লিগ পুনরায় চালুর ব্যাপারে আশাবাদী, কিন্তু অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ অনেকটাই অনিশ্চিত। একদিকে নিরাপত্তা, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার সময়সূচি—সব মিলিয়ে ফেরার সিদ্ধান্ত এখন তাদের নিজেদের ওপর নির্ভর করছে।
এমএইচএম