ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির পরপরই চলতি আইপিএল আবার মাঠে ফেরানোর তোড়জোড় শুরু করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। দ্রুত টুর্নামেন্ট শেষ করতে চায় বোর্ড।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিসিসিআই মৌখিকভাবে আইপিএলের সব ফ্র্যাঞ্চাইজিকে অবহিত করেছে, খুব শিগগিরই নতুন সময়সূচি জানানো হবে। সব খেলোয়াড়দের নিজ নিজ হোম ভেন্যুতে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ১৩ মে মঙ্গলবারের মধ্যে।
তবে পাঞ্জাব কিংস ব্যতিক্রম। চণ্ডীগড় ও ধর্মশালার নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির কারণে দলটি আপাতত নিজস্ব মাঠে খেলতে পারবে না। তাদের জন্য একটি নিরপেক্ষ ভেন্যু নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে বিসিসিআই।
বিদেশি ক্রিকেটারদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ, বেড়েছে ডাবল হেডারের সংখ্যা
আইপিএল স্থগিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেক বিদেশি ক্রিকেটার নিজ দেশে ফিরে গেছেন। তাই বিসিসিআই দলগুলোকে বলেছে—যে বিদেশি খেলোয়াড়রা ফিরতে পারবেন, তাদের যাতায়াত ও প্রাপ্যতা সংক্রান্ত সব তথ্য জানাতে। কিছু দল ইতোমধ্যেই বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে।
সময় স্বল্পতা পুষিয়ে নিতে বোর্ড বেশ কয়েকটি ডাবল হেডার (একদিনে দুটি ম্যাচ) আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।
তিনটি শহরে হবে বাকি ১৬টি ম্যাচ, চূড়ান্ত সূচি আসছে আজ রাতেই
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত হবে বাকি ১৬টি ম্যাচ—১২টি লিগ ও ৪টি প্লে-অফ। বিসিসিআই সূত্র জানিয়েছে, নতুন সময়সূচি রোববার (১১ মে) রাতেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে দলগুলোর কাছে।
তবে কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি বিদেশি ক্রিকেটারদের প্রাপ্যতা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের পাওয়া কঠিন হতে পারে, কারণ জুনের ১১ তারিখে লর্ডসে শুরু হচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল।
বিসিসিআই’র দ্রুততার পেছনে কারণ
টুর্নামেন্ট শুক্রবার স্থগিত হয়, যখন ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ চলাকালে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন শনিবার ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলে, বিসিসিআই তাৎক্ষণিকভাবে ফের খেলা চালুর উদ্যোগ নেয়।
আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল বলেন, "যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর আমরা খেলা পুনরায় শুরুর সম্ভাবনা খুঁজছি। মাঠ, সময়, সম্প্রচারসহ সব কিছু নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—ভারত সরকারের অনুমতি। "
এমএইচএম