ক্রিকেট বিশ্ব আবারও এক অঘটনের সাক্ষী হলো। গত মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো শক্তিশালী দলকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দু'বার হারিয়ে দিয়েছিল নেপাল।
ওয়ান-অফ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে শেষ বলের থ্রিলারে হারিয়ে দেয় অ্যাসোসিয়েট নেশন নামিবিয়া। উইনহুকের ওয়ান্ডারার্স ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচটি যেমন ছিল দুই দলের মধ্যে প্রথম দ্বিপাক্ষিক লড়াই, তেমনই ছিল এই মাঠটির প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচও। এই স্মরণীয় জয়ের মাধ্যমে দারুণ সূচনা করল ক্রিকেট নামিবিয়া, যারা ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক দেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকা এই ম্যাচের জন্য তাদের 'বি' দল পাঠিয়েছিল। তবে এই দলেও ছিলেন কুইন্টন ডি কক, লুয়ান-দ্রে প্রিটোরিয়াস, জেরাল্ড কোয়েটজি এবং ন্যান্দ্রে বার্গারের মতো আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়েরা। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, এই প্রোটিয়ারা সদ্য সমাপ্ত ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছে।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সবকটি উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৩৪ রান তুলতে সক্ষম হয়। দলের কোনো ব্যাটারই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি; সর্বোচ্চ স্কোর ছিল জেসন স্মিথের ৩১ রান। নামিবিয়ার হয়ে দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্স দেখান রুবেন ট্রাম্পেলম্যান, ২৮ রানের বিনিময়ে তিনি ৩টি উইকেট শিকার করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়ার ব্যাটিংও খুব একটা ভালো ছিল না। তবে অধিনায়ক গেরহার্ড ইরাসমাস এবং উইকেটকিপার-ব্যাটার জানে গ্রিন দলের ইনিংসকে ধরে রাখেন। শেষ মুহূর্তে যখন খেলা চরম উত্তেজনার মুখে, তখন ক্রিজের এক প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্পেলম্যান। অবশেষে, ম্যাচের একদম শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে দলকে ১ উইকেটের অবিস্মরণীয় জয় এনে দেন জানে গ্রিন। তিনি অপরাজিত থাকেন ৩০ রানে।
এই পরাজয় দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এক নজির তৈরি করল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো সদস্য দেশের কাছে এটিই তাদের প্রথম হার। তবে নামিবিয়া এর আগেও নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তারা ইতোমধ্যেই আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে এবং শ্রীলঙ্কার মতো আরও তিনটি পূর্ণ সদস্য দেশকে হারানোর কৃতিত্ব দেখিয়েছে।
এমএইচএম