সিলেট থেকে: বিশ্বমঞ্চে অভিষেক হয়েছিল ২৬ মার্চ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল ৩৬ রানে হেরে। সালমা খাতুনের বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা কাটানোর প্রত্যাশা দিয়ে শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ডের।
অবশ্য ফাহিমা খাতুনের শেষদিকের দুটি বাউন্ডারিতে চারটি লজ্জার একটি কাটাতে সফল হয়েছে বাংলাদেশ। এক রানের জন্য মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডে নাম ওঠেনি তাদের। ২০১২ সালের ৮ অক্টোবর গুয়াংজুতে ৫৭ রানে শ্রীলঙ্কাকে গুটিয়ে দিয়েছিল সালমার দল। এশীয় কাপ টি-টোয়েন্টির ওই ম্যাচে ৬৩ রানের লক্ষ্য দিয়ে ৫ রানে জিতেছিল তারা। এই লজ্জা কাটিয়ে এখন সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের তালিকায় দুইয়ে বাংলাদেশ।
তবে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানের ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। না বললেও চলে গুয়াংজুতে লঙ্কানদের বিপক্ষে ৬২ রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ডই এদিন টপকে গেল তারা।
বিশ্বকাপের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোরও এখন বাংলাদেশের দখলে। ২০০৯ সালের ১৬ জুন থেকে এতদিন এই জায়গাটি ছিল পাকিস্তানের কাছে। ওইবার ইংলিশদের বিপক্ষে ৬০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল তারা।
মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে আরেকটি রেকর্ডে নাম কিছুটা পরোক্ষভাবে থাকবে বাংলাদেশের। এটাও লজ্জার। বৃহস্পতিবার আয়ারল্যান্ডকে দিয়ে বিশ্বমঞ্চে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া (৭৮ রান)। একদিন না যেতেই ইংল্যান্ডের কাছে ৭৯ রানে সবচেয়ে বড় হারের রেকর্ডে নাম উঠল স্বাগতিকদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, ২৮ মার্চ ২০১৪