ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

চাপমু্ক্ত হলেন গেইল

ওয়ার্ল্ডকাপ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫
চাপমু্ক্ত হলেন গেইল ক্রিস গেইল

ঢাকা: ক্যানবেরায় ক্রিস গেইল এতটা বিধ্বংসীরূপে আর্বিভূত হবেন-তা কে ভেবেছে? গেইল রানে ফিরুক এটাই চাইছিলেন তার ভক্ত-সমর্থকরা। আজকের ম্যাচের আগে সর্বশেষ ১৯ ইনিংসে সেঞ্চুরির দেখা নেই গেইলের উইলোতে।

তাইতো ক্যারবীয়দের প্রত্যাশা ছিল বড় একটি ইনিংস খেলুক গেইল। সেই বড় ইনিংসটা যে ২১৫ হয়ে যাবে- তা কে ভেবেছিল? অসংখ্য রেকর্ডের ইনিংসে মোটা দাগে লেখা হলো-বিশ্বকাপের প্রথম ও একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরিয়ান ক্রিস গেইল।

এমন কীর্তি গড়ার পর ক্রিস গেইল নিজেকে চাপমুক্ত মনে করছেন। ইনিংস শেষে গেইল বলেন, ‘খুব চাপের মধ্যে ছিলাম। আমার ব্যাটে রান আসছিলো না। সবাই আমার ব্যাটে রান দেখার জন্য ‍মুখিয়ে ছিলেন- আমার ক্যারিয়ারে এমন পরিস্থিতিতে আগে কখনো পড়িনি। তবে এখন আমি চাপমুক্ত। ’

গেইল আরো বলেন, ‘১০০ রান করার পর চাইছিলাম ইনিংসটাকে লম্বা করতে। আমি সন্তুষ্ট শেষ পর্যন্ত ডাবল সেঞ্চুরিটা করতে পেরেছি। আমার অনেক ভক্ত টুইট করতো। রোহিত শর্মার ওয়ানডেতে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি-এটা আমাকে শোনাতো তারা। অবশেষে আমি তাদের চাওয়াকে পূরণ করতে পেরেছি। সত্যিই আজ আমি আনন্দিত। ’ 

১১তম ক্রিকেট বিশ্বকাপও আলোকজ্জল হয়েছে গেইলের ব্যাটের ছোঁয়ায়। ২০১৫ বিশ্বকাপের ১৫তম ম্যাচ পেল প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ানকে। ১৪৭ বলে ১৬টি চার ও ১০টি ছক্কায় ২১৫ রান করে ইনিংসের শেষ বলে ‍ আউট হয়েছেন এই ব্যাটিং দানব।

২৩ বছর বয়সী ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার অবশ্য ম্যাচের একদিন আগেই আঁচ দিয়ে রেখেছিলেন। বলেছিলেন, আমি কালকের (মঙ্গলবার) ম্যাচে গেইলকে পজিটিভ দেখতে চাই। যদিও তিনি রানের মধ্যে নেই। তারপরও ‍তাকে নিয়ে আমাদের দলের পুরোপুরি আত্মবিশ্বাস আছে। আমি আশা করি, কালকের (মঙ্গলবার) ম্যাচেই জ্বলে উঠবে গেইলের ব্যাট। সামর্থ্য অনুযায়ী খেলবে সে। গেইল জ্বলে উঠলে কোনো ম্যাচে হয়তো চারশো’র কাছাকাছি স্কোর দাঁড় করাতে পারব। ’

অধিনায়কের কথা মতোই চার’শর কাছাকাছিই গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর। ৫০ ওভারে দুই উইকেটে ৩৭২ রানের দলীয় স্কোর গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যা বিশ্বকাপ ইতিহাসে পঞ্চম দলীয় সর্বোচ্চ রান। ফর্মহীনতায় থাকা গেইল ডাবল সেঞ্চুরি করে বসবেন এটা কি আদৌ ভেবেছিলেন হোল্ডার?

গেইলের ‍ডাবল সেঞ্চুরি করার পেছেনে মারলন স্যামুয়েলসের রয়েছে অবদান। নিজে বেশি স্ট্রাইক না নিয়ে খেলিয়েছেন গেইলকে দিয়ে। তাতে অবশ্য স্যামুয়েলসের লাভও কম হয়নি। ১৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ফেলেছেন গেইলের সঙ্গী হয়ে। আর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৭২ রান যোগ করে গেইল-স্যামুয়েলস দু’জনের নামই উঠে গেছেন ইতিহাসে। পরে দলটি বৃষ্টি আইনে জিম্বাবুয়েকে ৭৩ রানে হারায়।

এর আগে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে সৌরভ গাঙ্গুলি ও রাহুল দ্রাবিড় মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে করেছিলেন ৩১৮ রান। যেটি ছিল ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রানের জুটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।