মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি পড়ালেখার জগতেও ক্রীড়াবিদদের সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকলেও জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের তরুণ পেসার মারুফা আক্তারের এইচএসসি পরীক্ষার ফল আশানুরূপ হয়নি। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) থেকে এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
তবে মারুফার পরীক্ষার খাতাটি পুনঃনিরীক্ষার জন্য আবেদন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে বিকেএসপি কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানের উচ্চ মাধ্যমিক শাখার উপাধ্যক্ষ ড. মো. শামীমুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মারুফা আক্তার বলেন, ‘ভূগোল পরীক্ষাটা খারাপ যায়নি। তাই কলেজের পক্ষ থেকে আমার খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করা হবে। আশা করি, সংশোধিত ফলে ভালো কিছু আসবে। ’ আপাতত ‘নিরীক্ষার অপেক্ষায় ঝুলে আছে’ এই পেসারের চূড়ান্ত ফলাফল।
অন্যদিকে, ছেলেদের বিভাগে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তরুণ বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধা জিপিএ ৪.২৫ এবং লেগ স্পিনার ওয়াসি সিদ্দিকি জিপিএ ৪.০৮ পেয়েছেন। চোট কাটিয়ে ফেরা আরেক পেসার রোহানাত দৌল্লাহ বর্ষণও সফলভাবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
সার্বিকভাবে বিকেএসপির ফলাফল বেশ সন্তোষজনক। প্রতিষ্ঠানটি থেকে এবার মোট ১৫৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ১৪৭ জন; পাসের হার ৯৪.২৩ শতাংশ। এ বছর বিভিন্ন ক্রীড়া বিভাগ থেকে মোট ৬ জন ক্রীড়াবিদ জিপিএ-৫ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ‘গোল্ডেন এ প্লাস’ পেয়ে সবার শীর্ষে রয়েছেন বাস্কেটবলের শাহরিয়ার।
এছাড়া জিপিএ-৫ পাওয়া অন্যদের মধ্যে রয়েছেন টেবিল টেনিসের জয় ইসলাম, অ্যাথলেটিকসের মাসুম মোস্তফা এবং ক্রিকেটের নাভিদ আল হাসান, মেহরাব হাসান ও জান্নাতুল ফেরদৌস এষা।
অন্যান্য তারকা ক্রীড়াবিদদের মধ্যে আর্চারি থেকে অলিম্পিয়ান সাগর ইসলাম জিপিএ ৩.০৮ এবং এশিয়া কাপে স্বর্ণজয়ী আব্দুর রহমান আলিফ জিপিএ ৩.৮৩ পেয়েছেন।
এদিকে, হকির পাঁচজন খেলোয়াড়ের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও অনূর্ধ্ব-১৮ দলের খেলার ব্যস্ততার কারণে মেহেদী হাসান ও দ্বীন ইসলাম অংশ নিতে পারেননি। বাকিদের মধ্যে হুজাইফা ইসলাম, তানভীর হাসান সিয়াম ও তৈয়ব আলী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
এফব/এমএইচএম