ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

টি-২০’তে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পন

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৫
টি-২০’তে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পন ছবি: শোয়েব মিথুন /বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ভালো করায় শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও আত্মবিশ্বাস নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। তবে ঘরের মাঠে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাজেভাবে হারের পর দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচেও অসহায় আত্মসমর্পন করে টাইগাররা।



মিরপুরে শেরে-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৩১ রানে হেরে সিরিজে ২-০তে পরাজিত হলো বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের করা ১৬৯ রানের জবাবে খেলতে নেমে ১৯.২ ওভারে ১৩৮ রানেই শেষ হয় স্বাগতিকদের ইনিংস।

১৭০ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করে টাইগার ওপেনাররা। প্রথম ম্যাচে বাজে শট খেলতে গিয়ে আউট হওয়া সৌম্য সরকার এ ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং শুরু করেন। প্রোটিয়া বোলারদের শাসন করে খেলেন অসাধারণ কিছু শট।

দুই ওপেনার মিলে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৬ রান করে জয়ের আভাস দিচ্ছিলেন। তবে ব্যক্তিগত ১৩ রান করে প্যাভিলিওনে ফেরেন তামিম ইকবাল। আর দলীয় ৫৫ রানে অভিষিক্ত লি’য়ের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন সৌম্য। বাঁহাতি এ ওপেনার আউট হবার আগে ২১ বলে ছয়টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৭ রান করেন।

এদিকে বাংলাদেশের ইনিংসে দুই ওপেনার আউট হবার পর সাকিব-মুশফিক-সাব্বির-নাসির দায়িত্বহীন ব্যাটিং করে আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত থাকেন। তবে শেষ দিকে এসে অভিষিক্ত রনি তালুকদার ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা কিছুটা আশা জাগালেও পেরে উঠেননি।

বাংলাদেশের ইনিংসে প্রোটিয়া স্পিনাররা দারুণ আধিপত্য বিস্তার করেন। ইডি লি ও অ্যারন ফাঙ্গিসো তিনটি করে উইকেট নেন। এছাড়া আরো তিনটি উইকেট পান পেসার কাইল অ্যাবোট।

এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দেয় প্রোটিয়ারা। কুইন্টন ডি কক ও এবি ডি ভিলিয়ার্স মিলে ৯৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তবে আগের ম্যাচে টাইগারদের হয়ে দারুণ বোলিং করা আরাফাত সানি এদিন ডি ককের উইকেটটি তুলে নেন। লম্বা শট খেলতে গেলে সাব্বির রহমানের ক্যাচে পরিণত হন ডি কক।

অন্যদিকে স্বাগতিকদের এ ম্যাচে সবচেয়ে ভালো বোলিং করা নাসির হোসেন চার ওভারে ২৬ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট পান। ডি ভিলিয়ার্স ও জেপি ডুমিনিকে দ্রুত আউট করে দ.আফ্রিকার রানের গতি কিছুটা কমান নাসির।

প্রোটিয়া ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে ডি ককের ব্যাট থেকে। আর ৪০ রান করেন আরেক ওপেনার ডি ভিলিয়ার্স। মুস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশের হয়ে একটি উইকেট পান। সফরকারী অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসকে মুশফিকের ক্যাচে পরিণত করান মুস্তাফিজ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৫
এমএমএস

** টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল প্রোটিয়ারা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।